এদিকে যখন ওড়িশা উপর দিয়ে ও পশ্চিমবঙ্গের কান ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে ‘ডানা’র (Dana)। আর সেই সময় ঠিক চিন সাগরে তৈরি হওয়া সাইক্লোন (Cyclone) ‘ট্রামি’তে (Trami) কার্যত লন্ডভন্ড দ্বীপরাষ্ট্র ফিলিপিন্স (Philippines)। স্থানীয়ভাবে যার নাম ক্রিস্টিন (Crishitin)। গতি ছিল ২৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। গ্রীষ্মমণ্ডলিয় ঝড় ‘ট্রামি’ আছড়ে পড়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রে কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেড় লক্ষাধিক মানুষ এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া।

সরকারি তরফে জানান হয়েছে, ফিলিপিন্সের উত্তর-পূর্ব উপকূলের স্থলভাগের কাছে ‘ট্রামি’ ঝড় আছড়ে পড়ার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ল্যান্ডফলের সময় এর গতিবেগ ছিল ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। পরে গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ‘ট্রামি’ (Trami) স্থানীয় ভাবে তীব্র গ্রীষ্মমণ্ডলিয় ঝড় ‘ক্রিস্টিন’ (Trami) নামে পরিচিত। ফিলিপিন্সের ইসাবেলা প্রদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর ডিভিলাকানে বৃহস্পতিবার আছড়ে পড়ে এই ঝড়। যার প্রকোপে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয় ফিলিপিন্সের উত্তর-পূর্ব উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকায়। প্রবল বর্ষণে জায়গায় জায়গায় ভূমিধসও হয়। ‘ট্রামি’র প্রভাব পড়েছে ফিলিপিন্সের প্রধান দ্বীপ লুজোনের জনজীবনের উপরেও। সমুদ্রের সুউচ্চ ঢেউ এসে ভাসিয়ে দিয়ে গিয়েছে উত্তর-পূর্বের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিকে। সমুদ্র তীরবর্তী অনেকগুলি গ্রামে বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে।

ফিলিপিন্সের ‘সিভিল ডিফেন্স অফিস’ (Civil Defence Office) জানিয়েছে, দ্বীপরাষ্ট্রের প্রায় দু’লক্ষ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে ঠাঁই নিয়েছেন আশ্রয় শিবিরগুলিতে। জলের ঢেউ বাড়ির ছাদ পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার পরে অনেকেই বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন। সমুদ্রের জলের সঙ্গে বয়ে আসা কাদা এবং আগ্নেয়কাদায় বহু গাড়ি এবং বাড়িঘর কার্যত চাপা পড়ে গিয়েছে। সেই সব ছবি এবং ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে।

আরও পড়ুন- ট্রাম্পের বিরোধিতা করে হ্যারিসকে খোলা চিঠি ১০ নোবেলজয়ীর
