Saturday, August 23, 2025

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও ‘সংখ্যালঘু’ তকমা ফিরে পাওয়ার পথ খুলল আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের

Date:

Share post:

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (AMU) কি ‘সংখ্যালঘু’ তকমা ফিরে পাবে? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুক্রবারের শুনানিতে সেই পথ খুলল। কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই ‘সংখ্যালঘু’ তকমা দাবি করতে পারে না- ১৯৬৭ সালে এক ঐতিহাসিক রায়ে এই কথা জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু এদিন ওই রায় খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। পক্ষে-বিপক্ষে ৪:৩ রায়ে বেঞ্চ জানিয়ে দিল, ‘সংখ্যালঘু’ তকমা দাবি করতেই পারে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। তবে, ওই বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যালঘু সেটি ফিরে পাবে কি না- তা ঠিক করবে অন্য বেঞ্চ।

শীর্ষ আদালতের ১৯৬৭ সালের রায়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (AMU) সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা হারায়। সেই সময় সুপ্রিম কোর্ট জানায় কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাবি করতে পারে না। এর পরে ১৯৮১ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের আমলে আইন সংশোধন করে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ইন্দিরা গান্ধীর আনা সেই সংশোধনীকে ২০১৬ সালে ‘অসাংবিধানিক’ বলে খারিজ করে দেয় এলাহাবাদ হাই কোর্ট। এই রায়ের পাল্টা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

AMU-কে সংখ্যালঘু বিশ্ববিদ্যালয়ের তকমা না দেওয়ার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জোরাল সওয়াল করে মোদি সরকার। কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, ‘জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানে’-র তকমা পেয়েছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। কোনও ‘জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান’ নির্দিষ্ট কোনও ধর্মের বা নির্দিষ্ট কোনও জাতির বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে না। ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক-স্বাধীনতা যুগেও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল। সেটিকে শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের বিশ্ববিদ্যালয় বলা যায় না।

নিজের কর্মজীবনের শেষদিনে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এই মামলায় ৪:৩ বিভাজনের ভিত্তিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মত নিয়ে রায় দেন। আর সেখানে ১৯৬৭ সালের সিদ্ধান্ত খারিজ করা হয়েছে। অর্থাৎ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যলয়ের সংখ্যালঘু তকমা দাবি করায় কোনও বাধা রইল না। তবে তকমা ফেরানো হবে কি না, সেটা সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ নির্ধারণ করেনি। সেটার জন্য তিন বিচারপতির একটি পৃথক বেঞ্চ গঠন করা হবে। তারাই এই সিদ্ধান্ত নেবে।







spot_img

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...