Wednesday, November 5, 2025

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও ‘সংখ্যালঘু’ তকমা ফিরে পাওয়ার পথ খুলল আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের

Date:

Share post:

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (AMU) কি ‘সংখ্যালঘু’ তকমা ফিরে পাবে? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুক্রবারের শুনানিতে সেই পথ খুলল। কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই ‘সংখ্যালঘু’ তকমা দাবি করতে পারে না- ১৯৬৭ সালে এক ঐতিহাসিক রায়ে এই কথা জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু এদিন ওই রায় খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। পক্ষে-বিপক্ষে ৪:৩ রায়ে বেঞ্চ জানিয়ে দিল, ‘সংখ্যালঘু’ তকমা দাবি করতেই পারে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। তবে, ওই বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যালঘু সেটি ফিরে পাবে কি না- তা ঠিক করবে অন্য বেঞ্চ।

শীর্ষ আদালতের ১৯৬৭ সালের রায়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (AMU) সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা হারায়। সেই সময় সুপ্রিম কোর্ট জানায় কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাবি করতে পারে না। এর পরে ১৯৮১ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের আমলে আইন সংশোধন করে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ইন্দিরা গান্ধীর আনা সেই সংশোধনীকে ২০১৬ সালে ‘অসাংবিধানিক’ বলে খারিজ করে দেয় এলাহাবাদ হাই কোর্ট। এই রায়ের পাল্টা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

AMU-কে সংখ্যালঘু বিশ্ববিদ্যালয়ের তকমা না দেওয়ার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জোরাল সওয়াল করে মোদি সরকার। কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, ‘জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানে’-র তকমা পেয়েছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। কোনও ‘জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান’ নির্দিষ্ট কোনও ধর্মের বা নির্দিষ্ট কোনও জাতির বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে না। ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক-স্বাধীনতা যুগেও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল। সেটিকে শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের বিশ্ববিদ্যালয় বলা যায় না।

নিজের কর্মজীবনের শেষদিনে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এই মামলায় ৪:৩ বিভাজনের ভিত্তিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মত নিয়ে রায় দেন। আর সেখানে ১৯৬৭ সালের সিদ্ধান্ত খারিজ করা হয়েছে। অর্থাৎ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যলয়ের সংখ্যালঘু তকমা দাবি করায় কোনও বাধা রইল না। তবে তকমা ফেরানো হবে কি না, সেটা সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ নির্ধারণ করেনি। সেটার জন্য তিন বিচারপতির একটি পৃথক বেঞ্চ গঠন করা হবে। তারাই এই সিদ্ধান্ত নেবে।







spot_img

Related articles

বিলাসপুরের ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ৮: মৃত চালকের উপরই দায় চাপানোর চেষ্টা!

বরাবর যেভাবে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত ট্রেনের চালকের উপর দায় চাপিয়ে অব্যবস্থা ও পরিকাঠামোর অভাবকে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে...

ঠাকুরবাড়িতে প্রকাশ্যে ঘরোয়া কোন্দল! শান্তনুর সঙ্গ ছাড়লেন দাদা সুব্রত 

মতুয়া সংগঠন ঘিরে দীর্ঘদিনের অন্দরের টানাপোড়েন এবার প্রকাশ্যে। পারিবারিক অশান্তি এবং সংগঠনের ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে ঠাকুরবাড়িতে দেখা দিল...

বিরোধীদের কুৎসায় কালি: রাজ্যে SIR প্রক্রিয়ার প্রথমদিন শান্তিপূর্ণ, তথ্য পেশ কমিশনের

নির্বাচন কমিশনের তরফে বিএলও। রাজনৈতিক দলের তরফে বিএলএ। রাজ্যের নাগরিক ভোটার। এই তিনের সমন্বয়ে মঙ্গলবার থেকে গোটা রাজ্যে...

খুব তাড়াতাড়ি আসবেন কলকাতায়, মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তার উত্তরে জানান শাহরুখ

রবিবার শাহরুখ খানের ৬০তম জন্মদিন ছিল। এদিন শাহরুখকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই শুভেচ্ছার এবার উত্তর...