Monday, August 25, 2025

৬/৬ তৃণমূল, বিধানসভায় ৭৭ থেকে কমে কত হল বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা!

Date:

Share post:

বঙ্গে ক্রমশ ফিকে হচ্ছে গেরুয়া। বিধানসভায় ৭৭ থেকে কমে এখন ছয়ের ঘরে বিজেপি (BJP) বিধায়কের সংখ্যা। ২০২১-এর জেতা আসনও উপনির্বচানের ধরে রাখতে পারছে না তারা। সঙ্গত কারণেই হতাশা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মতো বর্ষীয়ান বিজেপি নেতাদের গলায়। সুকান্ত মজুমদার-শুভেন্দু অধিকারীর যদিও ২০২৬-এর স্বপ্ন দেখছেন, তবে বাস্তব হল ক্রমশ কমেছে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির (BJP) বিধায়ক সংখ্যা ৩ থেকে বেড়ে হয়েছিল ৭৭। এই নজির বড় একটা নেই। শাসকদলের তুলনায় এই সংখ্যা যথেষ্ট কম হলেও, অন্য বিরোধীদল না থাকাও বেজায় উড়ছিল পদ্মশিবির। কিন্তু ২১-এর পর থেকেই ধস বিজেপি শিবিরে। ক্রমশ কমছে বিধায়ক সংখ্যা। এখন ঠিক কতজন বিধায়ক রয়েছে গেরুয়া শিবিরের সংখ্যা কত?
এই মুহূর্তে সেই সংখ্যা বলতে পারছেন না দলেই একাধিক বিধায়ক! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি বিধায়কের কথায়, পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, এখন মনে হয় সংখ্যাটা ৬৬ হবে।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে কলকাতা পুরসভা, উপনির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচন, লোকসভা নির্বাচন এবং শনিবারে ফল প্রকাশিত ৬টি বিধানসভার উপনির্বাচনে ভরাডুবি বিজেপির।
নিশীথ প্রামাণিক সাংসদ থেকেও ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে দিনহাটা কেন্দ্র লড়াই করে জিতে যান। কিন্তু সাংসদ পদে ছাড়তে রাজি হননি। পরে সেখানে উপনির্বাচনে জেতেন তৃণমূলে (TMC) উদয়ন গুহ।
বিজেপির টিকিটে পরপর দু’বার বিধায়ক হওয়া মনোজ টিগ্গা একুশের নির্বাচনে মাদারিহাট কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। কিন্তু ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সাংসদ হন। এদিন সেই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো।
রাণাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন বিজেপির মুকুটমণি অধিকারী। গেরুয়া ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে ফের বিধায়ক হন।
বাগদা বিধানসভা থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন বিশ্বজিৎ দাস। কিন্তু একুশের নির্বাচনের পরে তৃণমূলে ফিরে আসেন। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে হেরে যান। তবে ওই বিধায়সভা কেন্দ্রে জেতে তৃণমূল।
কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ফের তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিধায়ক হন।
বিজেপির জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদ ছেড়ে সাংসদ হন। ওই আসনটিও জেতেন তৃণমূলের ব্রজকিশোর গোস্বামী।
ধূপগুড়িতে বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায় প্রয়াত হন। ২০২৩-এর উপনির্বাচনে সেখানে জয়ী হন তৃণমূলের নির্মলচন্দ্র রায়।
তারপর এদিন মাদারিহাটে বিজেপির পরাজয়।

শাসকদলের মতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজ ও জনমুখী প্রকল্পের জন্যেই মানুষের রায় আরও বেশি করে তৃণমূলের পক্ষে আসছে। ফলে বিধানসভায় এবার ক্রমশ কমছে বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা। রাজনৈতিক মহলের মতে, বাংলায় টিকে থাকতে এই ট্রেন্ড দেখে ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে নতুন স্ট্র্যাটিজি সাজানো উচিৎ পদ্মশিবিরের।








spot_img

Related articles

আদিবাসী উন্নয়ন আরও সুদূর প্রসারি করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সৌজন্য উড়িয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি

আদিবাসী উন্নয়ন নয়, রাজনীতিই যে তাদের লক্ষ্য তা আরও একবার প্রমাণ করল বিজেপি (BJP)। আমন্ত্রণ পেয়েও সৌজন্যের জবাব...

DHFC-র হারের পরই ক্লাব থেকে কর্তাদের ছোট করার চেষ্টা, জবাব দিলেন মানস

ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ফাইনালে পৌঁছে সকলকে চমকে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। বাংলার ফুটবলকে যে দল নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তাদের...

আধারের অভাবে রেশন বঞ্চনা নয়, কড়া নির্দেশ খাদ্য দফতরের 

আধার কার্ড না–থাকা বা বায়োমেট্রিক যাচাই না–হওয়ার কারণে আর কোনও বৈধ রেশন গ্রাহককে খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত...

হাওড়ায় বৃদ্ধ খুনের নেপথ্যে সমকামী সম্পর্ক-ব্ল্যাকমেইল! তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

হাওড়ায় বৃদ্ধ খুনের নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার সালকিয়ার অরবিন্দ রোডের বাসিন্দা অসীম দে (Asim de) খুন...