নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনে গ্রেফতার প্রতিবেশী। রবিবার সন্ধেয় নিখোঁজ নাবালিকার রক্তাক্ত দেহ মেলে বাড়ি থেকে দূরে প্রতিবেশীর বাড়িতে। মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক উত্তেজনা হুগলির (Hoogli) গুড়াপে। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত চলছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Kolkata Medical College And Hospital)।

পুলিশ (Police) সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধেয় নিখোঁজ হয়ে যায় বছর পাঁচের ওই বালিকা। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে এক প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে নাবালিকার রক্তাক্ত ও অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন বাড়ির লোকজন। তবে কম্বল চাপা থাকায় প্রথমে কিছু বুঝতে পারেননি কেউ। কিন্তু কম্বল সরাতেই দেখা যায়, নাবালিকা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে। তাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে ধনিয়াখালি গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা (Doctor)।

ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ আছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তবে প্রতিবারই সে আইনের ফাঁক গলে বহাল তবিয়তে রয়েছে। এহেন ঘৃণ্য কাজের জন্য ধৃতের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সরব প্রতিবেশীরা। মা-বাবা চান দোষীর ফাঁসি হোক। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ও পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আরও খবর: মঙ্গলে নৈহাটির বড়মার মন্দিরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

সোমবার নাবালিকার ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়ায় দেহ পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায় দেহ নিয়ে আসা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।

নাবালিকার বাবা জানিয়েছেন, মেয়ে মাংস খাওয়ার আবদার করায় তিনি বাজারে গিয়েছিলেন। সে সময়ে পাড়াতেই খেলতে বেরিয়েছিল মেয়েটি। তার পর বিকেল গড়িয়ে সন্ধে হয়ে গেলেও সে বাড়ি ফেরেনি দেখে খোঁজ শুরু করেন বাবা। পাড়া-প্রতিবেশীরাও খুঁজতে বের হন। বাবার অভিযোগ, কিছুটা দূরে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে খানিক সন্দেহ হয় তাঁদের। কিছুতেই ওই ব্যক্তি তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছিলেন না। ঠেলে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় তাঁদের। জোর করে ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায় প্রতিবেশীর বাড়ির খাটে মশারি এবং কম্বল চাপা দেওয়া অবস্থায় নাবালিকাকে পড়ে রয়েছে। তার শরীর থেকে রক্তক্ষরণও হচ্ছিল। মেয়ের উপর পাশবিক অত্যাচারে দোষীর ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন বাবা।
