নৌপথে মুম্বই (Mumbai) প্রবেশ করে বাণিজ্য শহরে ২৬/১১-র হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানের জঙ্গিরা। তারপরেও ভারতের নৌপথ আরব সাগরে (Arabian Sea) কতটা অরক্ষিত বারবার অনুপ্রবেশে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু ভারতে বসে প্রতিরক্ষার তথ্য পাচার না হলে যে বিদেশি শক্তির পক্ষে আঁটঘাট বেঁধে হামলা চালানো সহজ নয়, তাও দাবি করেছে গোয়েন্দারা। সেই তথ্য যে প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য গুজরাট থেকে ফাঁস হচ্ছিল, তার নজির রাখলেন এক যুবক। গুজরাট এটিএসের (ATS, Gujarat) হাতে গ্রেফতার যুবক তথ্য প্রতি মাত্র ২০০ টাকায় ভারতের প্রতিরক্ষার তথ্য পাচার করতেন পাক গুপ্তচরদের (spy) হাতে, দাবি গোয়েন্দাদের।

দীর্ঘদিন ধরে নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানের (Pakistan) হাতে চলে যাচ্ছে এমন খবর আসে গুজরাট এটিএসের (ATS, Gujarat) কাছে। সাধারণ হোয়াটসঅ্যাপ (whatsapp) মেসেজের মাধ্যমেই সেই সব তথ্য পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া বলে জানতে পারে এটিএস। এরপরই তদন্তে নেমে সর্ষের মধ্যেই ভূত খুঁজে পায় তারা। গুজরাটের দ্বারকরা ওখা বন্দরের (Okha port) এক কর্মীকেই এই তদন্তে পাক গুপ্তচরের সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে গ্রেফতার করে এটিএস।

ভারতীয় নৌসেনার গোপণ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানি গুপ্তচরের (Pakisatani spy) হাতে পাচার করতেন দীপেশ গোহিল নামে এক যুবক। তাকে গ্রেফতারের পরে জিজ্ঞসাবাদে উঠে আসে, ফেসবুকে তার সঙ্গে এক পাকিস্তানি গুপ্তচরের সঙ্গে আলাপ হয়। সে তথ্য প্রতি ২০০ টাকার বিনিময়ে ওখা বন্দরের (Okha port) ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) জাহাজের খবর দাবি করে। টাকার লোভে সেই সব তথ্য হোয়াটসঅ্যাপে ওই পাক গুপ্তচরকে পাঠাতে শুরু করে দীপেশ। কখনও লিখিত তথ্য, কখনও ছবি তুলে সীমান্তের ওপারে পাঠাত সে। ভারতীয় নৌসেনার গোপণ সব তথ্য পাওয়া ওখা বন্দরের কর্মী দীপেশের হাতে আসা কঠিন ব্যাপার ছিল না। সেই সুযোগই কাজে লাগিয়েছে পাক গুপ্তচর, দাবি এটিএসে।
