বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের মাসাধিক অতিক্রান্ত। কেন্দ্রের মোদি সরকারের (India Government) পক্ষ থেকে নীরবতা এমনভাবে বজায় রাখা হয়েছে যেমন মনিপুরের ঘটনায় জারি রাখা হয়েছিল। কেন্দ্রের নীরবতার সুযোগে বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাজ্য বাংলায় নষ্ট হচ্ছে ধর্মীয় সম্প্রীতি। ফলে অবিলম্বে ভারত সরকারের পদক্ষেপ দাবি নগেন্দ্র মঠ ও মিশন এবং বেঙ্গল সিটিজেন্স ফোরামের। কেন্দ্রের কাছে নিজেদের দাবি পৌঁছে দিতে রাজ্যপালের (Governor) সঙ্গে দেখা করলেন তাঁরা।

প্রতিবেশী দেশের হিংসার ইস্যুতে কেন্দ্রের সরকারের নীরবতার বিরোধিতা করে রবিবার শহরে মিছিল করেছিল নগেন্দ্র মঠ ও মিশন এবং বেঙ্গল সিটিজেন্স ফোরাম। সোমবার তাঁরা দেখা করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (Governor C V Ananda Bose) সঙ্গে। দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে নগেন্দ্র মঠ ও মিশনের সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ জানান, “বাংলাদেশের আপত্তিকর ঘটনাগুলোর সামাজিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। কোনও কোনও রাজনৈতিক দল সেটা নিয়ে রাজনীতি করছে। মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে একের পর এক ঘটনা ঘটছে আর কেন্দ্রের সরকার নীরব।” সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা মার খাচ্ছে। সেটা না থামিয়ে এখানে বিজেপি (BJP) হিন্দু ভোট মার্কেটিং করতে নেমেছে। এই রাজনীতি চলতে পারে না।”

কেন্দ্রের সরকার যাতে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়, সেই দাবিই রাজ্যপালের কাছে জানান দুই সংগঠনের সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন নগেন্দ্র মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কর, সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ, বাংলা সিটিজেন্স ফোরামের পক্ষ থেকে আসফাক আহমেদ সহ অন্যান্যরা। তাঁদের উদ্বেগের কারণ হিসাবে কুণাল জানান, “বাংলাদেশের শুধুমাত্র প্রতিবেশী দেশ, নয় প্রতিবেশী রাজ্য বাংলা। বাংলা মিশ্র জনগোষ্ঠীর রাজ্য সবধর্ম মিলে একসঙ্গে থাকি। রাজ্যপাল হিসাবে কেন্দ্রের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন যে কেন্দ্র অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক। একজন বিদেশ সচিব গেলেন, সেটা যেতেই পারেন। কিন্তু যারা হামলা করছে তাদের সঙ্গে বৈঠক করে চেলে এলেন কোনও ফল হল না। এরকম যেন না হয়।”
