বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার নিন্দা করা হয়েছিল। পাল্টা বাংলাদেশ (Bangladesh) দাবি করেছিল তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কারো হস্তক্ষেপ তারা গ্রাহ্য করবে না। কার্যত মঙ্গলবারও তারই প্রতিফলন দেখা গেল। একদিকে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে বৈঠকের পরে। অন্যদিকে ভারতকে নিয়ে নানা কুকথা ও ভারত বিরোধিতাতেও নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

ভারতের বিদেশ সচিব (foreign secretary) বিক্রম মিশ্রির বাংলাদেশ সফরের দিনেই আক্রান্ত ইসকনের সদস্য। ঢাকার (Dhaka) উত্তরায় ইসকন সদস্যের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদে সেই সদস্যের স্পষ্ট দাবি, বাংলাদেশ তাঁরও দেশ। তিনি কেন ছেড়ে যাবেন সেই দেশ। এভাবেই গত মাসখানেক ধরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, লুঠ, খুনের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের বিদেশ সচিব সেই প্রসঙ্গ সোমবারের বৈঠকে তুলে ধরলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সেগুলি অভ্যন্তরীণ বিষয়, সেখানে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ তারা মানবেন না বলেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। কার্যত তারই প্রতিফলন প্রশাসনের কার্যকলাপে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের (Mohammed Yunus) সঙ্গে বৈঠকের পরে যদিও বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর নজর রাখার দাবি জানিয়েছেন বিদেশ সচিব।

অন্যদিকে ভারত বিরোধিতাও সমানভাবেই জারি রয়েছে বাংলাদেশে। অন্তর্বর্তী সরকারের (interim government) ইন্ধনে প্রকাশ্যে ভারত বিরোধিতা করেও ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতারা। বাংলাদেশের পণ্যে নির্ভরশীলতা বাড়ানোর কথা বলে শুধুমাত্র ভারতীয় পণ্য পোড়ানোর অভিযান ফের শুরু করেন বিএনপি (BNP) যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রিজভির বাংলা বিহার ওড়িশা দখল করার হুমকির পাল্টা ভারত যে ললিপপ (lollipop) চুষবে না সেই বার্তা দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেই হুমকিকে ঢাকতে রিজভি এদিন ভারত থেকে চট্টগ্রাম দখলের মিথ্যে ভাষণ দিতেও দ্বিধা করেননি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নকল করে তিনি আবার আমলকি চোষার বার্তা দেন।

যদিও মঙ্গলবারই ফের সংখ্যালঘু আক্রমণের ঘটনায় প্রশাসনিক পদক্ষেপের তথ্য পেশ করেন প্রেস সচিব সফিকুল আলম। তাঁর দাবি, অক্টোবর মাস পর্যন্ত হওয়া হিংসার ঘটনায় ৮৮টি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। গ্রেফতার হয়েছে ৭০ জন। তবে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার তথ্য পেশ করা হয়নি।
