মেদিনীপুরের প্রসূতি মৃত্যুতে কড়া নবান্ন (Nabanna)। ব্ল্যাকলিস্টেড হওয়া কোম্পানির স্যালাইন ব্যবহার করার কারণেই প্রসূতির মৃত্যু? স্বাস্থ্যভবনের কোন আধিকারিক এই বিষয়টি তদারকি করেন? মেদিনীপুর মেডিক্যাল হাসপাতালের (Midnapore Medical College) ঘটনায় আগামী দুদিনের মধ্যে স্বাস্থ্যভবনকে রিপোর্ট তলব করল নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছ থেকে নির্দেশ পেয়েই স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Manoj Panth)। ইতিমধ্যেই শনিবার সকালে হাসপাতালে পৌঁছেছে বিশেষ মেডিক্যাল টিম। সুপারের উপস্থিতিতে বিশেষ বৈঠক শুরু হয়েছে বলে খবর মিলেছে।

ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাকি নিষিদ্ধ কোম্পানির স্যালাইন ব্যবহার করার জন্য প্রসূতি মামনি রুইদাসের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। অভিযোগ, যে ওষুধ কোম্পানির স্যালাইন ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই কোম্পানিকে গত ১০ ডিসেম্বর নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। তাহলে সেই স্যালাইন ব্যবহার হল কী করে? এক মাসের বেশি সময় ধরে সেটা হাসপাতালে রয়েই বা গেল কেন? রোগী মৃত্যুর পাশাপাশি এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দফতরের গঠিত মেডিক্যাল টিম। নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, পুরো ঘটনা তদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানানো সম্ভব হবে। একদিকে যখন মেডিক্যাল টিম পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ঠিক তখনই ঘোলা জলে রাজনীতি করতে ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর মেডিক্যালের সামনে বাম -কংগ্রেসের প্রতিবাদের নামে বিক্ষোভ দেখানো শুরু।

–

–

–

–

–

–

–

–
