বাংলায় এবার নয়া পদক্ষেপ।এই প্রথম কোনও হাসপাতালের ছাদে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স নামবে। ভারতের অন্যান্য শহরে এই পরিষেবা মিললেও বাংলায় এবারই প্রথম। জানা গিয়েছে, শহরের বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে এবার মিলবে এই আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সুযোগ। DGCA এই বিষয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুমতি দিয়েছে। অসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে যে সব সুরক্ষা বিধি আছে তা সম্পূর্ণভাবে মেনে নিয়েই এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালের ছাদে নামানো হবে।

শুক্রবার সকাল এগারোটা নাগাদ পরীক্ষামূলকভাবে বাইপাসের পাশে বেসরকারি হাসপাতালের ছাদে নামে এই হেলিকপ্টার। ছাদে তৈরি করা হয়েছিল হেলিপ্যাড। এদিন ওই ছাদে উপস্থিত ছিলেন ডিজিএসিএ’র প্রতিনিধিদল। হাসপাতালের ছাদে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নামানোর জন্য বেশ কিছু নিয়ম মানতে হয়। এছাড়া যে সংস্থা পরিষেবা দেবে, তারা যেন ডাবল ইঞ্জিন হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। হেলিপ্যাডে হেলিকপ্টার ওঠা-নামা করলে সেখানে ভালোরকম অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকতে হয়। সেটিও যেন বজায় থাকে। এই সব কিছু দেখে তবে DGCA অনুমতি দেয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সকে হাসপাতালের ছাদে নামার। ওই বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাদে হেলিপ্যাড গড়ে তোলার এই ভাবনাকে বাস্তবে রূপায়িত করতে গত চার বছর ধরে কাজ করেছেন তারা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ত্রিপুরা-সহ নানা রাজ্য, এমনকি প্রতিবেশী দেশ থেকে নিয়মিত রোগীরা যাতায়াত করেন। সেক্ষেত্রে কোনও ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি তৈরি হলে কাজে লাগবে এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। অত্যন্ত কম সময়ে হাসপাতালে পৌঁছতে ব্যবহার হবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। সরাসরি হাসপাতালে এসে নামতে পারলে দ্রুত চিকিৎসাও মিলবে।এছাড়া সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে হায়দরাবাদ থেকে ফায়ার ফাইটিং টিমকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

–

–

–

–

–

–

–

–
