ইমরানকে ১৪ বছরের জেলের সাজা, সমঝোতায় ‘না’ প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর

রাষ্ট্রীয় উপহারের বিক্রির মামলাও। যদিও এই সব মামলাকেই ইমরান (Imran Khan) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত (politically vindicated) বলে দাবি করেছেন

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং ক্রিকেটার ইমরান খানকে (Imran Khan) ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা। ইমরানের বিরুদ্ধে থাকা একাধিক অভিযোগের মধ্যে এক বিশাল অংকের টাকার দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত এই সাজা দিয়েছে। তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির (Bushra Bibi) সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজাও শোনানো হয় এদিন।

ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনীতির ময়দানে আসা ইমরান খানের (Imran Khan) জন্য এটি সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের কারাদণ্ড (imprisonment)।  তিনি  ২০২৩ সালের অগাষ্ট মাসে থেকেই জেলবন্দী। যদিও এদিন সাজা ঘোষণার পরও তিনি অনমনীয়। আদালতে তাঁর দাবি, তিনি ক্ষমাও চাইবেন না। কোনও রকম সমঝোতার পথেও যাবেন না। এবং গোটা বিচার প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করে তাঁর দল।

ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি আল-কাদির নামের একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির (real estate company) কাছে থেকে থেকে বিশাল অংকের টাকা ঘুষ নিয়েছেন। তদন্তে উঠে এসেছে, সেই আর্থিক দুর্নীতির পরিমাণ ২৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ভারতীয় টাকায় এই মুহূর্তে ১৮৫৬ কোটি টাকার সমান।

পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০০টিরও বেশি মামলায় অভিযুক্ত। যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস করা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় উপহারের বিক্রির মামলাও। যদিও এই সব মামলাকেই ইমরান (Imran Khan) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত (politically vindicated) বলে দাবি করেছেন।

এর আগে ২০২৩ সালে ইরমানকে তিন বছরের জন্য কারাদণ্ডের (imprisonment) নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি যে উপহার স্বরূপ টাকা এবং সম্পত্তি পেয়েছিলেন তার হিসাব সরকারের কাছে গোপন রাখা।