এসএসসি মামলা: সুপ্রিম কোর্টে ২৬ হাজারের চাকরি বাতিলের সওয়াল বিকাশের!

যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে সওয়াল করার দাবি জানালেও আদতে বিকাশ ভট্টাচার্যের দ্বিচারিতা স্পষ্ট হয়ে যায় সোমবারের সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)

0
3

রাজ্য সরকার যতবার নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা কাটিয়ে রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা করেছে ততবার বিরোধী রাজনীতিকদের অভিসন্ধির জেরে তা থমকে গিয়েছে। আরও একবার এসএসসি-তে (SSC) ছাব্বিশ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগের প্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে রয়ে গেল সিপিআইএম সাংসদ আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যের (Bikash Bhattacharya) সওয়ালে। তবে পরবর্তী শুনানি ১০ ফেব্রুয়ারিতে এই মামলার নিষ্পত্তির ইচ্ছা প্রকাশ প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার (CJI Sanjeev Khanna) ডিভিশন বেঞ্চের।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এসএসসি মামলার শুনানিতে এসএসসির কাছে ফের প্রধানবিচারপতি জানতে চান তালিকা থেকে যোগ্য অযোগ্যদের আলাদা করা যায় কি না। একই প্রশ্নের উত্তরে আগেও আদালতে এসএসসি (SSC) জানিয়েছিল এই বিভাজন সম্ভব। এরপরেও নিয়োগ আটকে রাখতে সোমবার আদালতে বিকাশ ভট্টাচার্য দাবি করেন, পুরো প্যানেল বাতিল করা হোক৷ এখানে যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থীদের সেপারেশন সম্ভব নয়। গোটা প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রায় দেড় ঘণ্টা সওয়াল করেন বাম আইনজীবী।

যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে সওয়াল করার দাবি জানালেও আদতে বিকাশ ভট্টাচার্যের দ্বিচারিতা স্পষ্ট হয়ে যায় সোমবারের সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) শুনানিতে। যদিও মূল মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবীর দাবি ফের পরীক্ষা নেওয়া হোক। সেক্ষেত্রে তাঁদের যুক্তি বয়সসীমা বাড়িয়ে আবার পরীক্ষা হলে যোগ্য-অযোগ্য প্রমাণিত হয়ে যাবে। এদিনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার, বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চান। যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন আইনানুগভাবে হলে যোগ্যদের চাকরিতে হাত না দিয়ে এগোনোর ইঙ্গিত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির শুনানিতে শীর্ষ আদালতে মামলার নিষ্পত্তির সম্ভাবনা।

নিজেদের রাজনৈতিক হতাশা ঢাকতে চাকরিপ্রার্থীদের ব্যবহার করছে সিপিআইএম, অভিযোগ রাজ্যের শাসকদলের। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, বিকাশ ভট্টাচার্যরা ছাত্র-ছাত্রী কর্মপ্রার্থীদের নিজেদের রাজনৈতিক হতাশার বহিঃপ্রকাশ করছেন। তাঁরা চান না ছেলেমেয়েরা চাকরি পাক। কোথাও কোনও ভুল হয়ে থাকলে সেটাই চিরকালীন শেষ কথা হতে পারে না। এরা মামলা করে করে চাকরি হওয়ায় বাধা দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে এই ইস্যুকে নিয়ে রাজনীতি জারি রাখছে।