২০২৪ অন্তর্বর্তী বাজেটে মধ্যবিত্তকে স্বাস্থ্য ও জীবন বিমার ক্ষেত্রে বাড় ধাক্কা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। রোগাক্রান্ত মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবন বিমার উপর জিএসটি চাপাতেও পিছপা হয়নি মোদি সরকার। প্রতিবাদে সবার আগে সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করিও কেন্দ্রের জিএসটি (GST) প্রত্যাহারের দাবি জানান। অবশেষে এক বছর পরে একদিকে বিমা ক্ষেত্রে (insurance sector) বিদেশি লগ্নির (FDI) পথ খুলে বিমা ব্যবস্থাকে মধ্যবিত্তের জন্য সহজ করার পথে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। অন্যদিকে নতুন বিমা নীতিতে আলোচনা চালানো হবে দেশীয় বিমা সংস্থাগুলির সঙ্গে।

জীবন সহ মানুষের বিমার আওতায় আসার মতো যে কোনও বস্তুতে বিমা করা যেখানে সাধারণ মানুষের কাছে অতিরিক্ত খরচ, সেখানে বিমা ক্ষেত্রকে জিএসটির (GST) আওতায় এনে মধ্যবিত্ত মানুষকে বিমা-বিমুখ করে দেয় মোদি সরকার। ফলে দেশের বিমা ক্ষেত্র মুখ থুবড়ে পড়ে ২০২৪ সালে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ জীবন বিমা (life insurance) ও স্বাস্থ্য বিমার (health insurance) মতো গুরুত্বপূর্ণ লগ্নিবিমুখ হয়ে ঝুঁকির জীবনে এগিয়ে যায়। মধ্যপথে বিমা ছেড়ে বেরিয়ে আসার প্রবণতা বাড়ে মানুষের মধ্যে।

প্রবল চাপের মুখে দেশের এই ক্ষেত্রকে তুলে ধরতে নভেম্বরে বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ২০২৫-২৬ কেন্দ্রীয় বাজেটে শেষ পর্যন্ত ১০০ শতাংশ বিদেশি লগ্নির (FDI) ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। সেই সঙ্গে ঘোষণা করেন, বিদেশি লগ্নির ক্ষেত্রে যে নিয়ম কানুনের বাধা বা শর্ত রয়েছে তা একদিকে সহজ করা হবে। অন্যদিকে সেগুলি পুণর্বিবেচনার পথে যাবে সরকার। এর ফলে বিমা সংস্থাগুলির প্রিমিয়ামের পরিমাণ কমার আশা করা হচ্ছে।

তবে যে বিমা সংস্থাগুলি ভারত থেকে অর্জিত প্রিমিয়ামের (premium) টাকা শুধুমাত্র ভারতেই বিনিয়োগ করে তাদের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে। বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) বাড়লে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে বিমার জন্য অতিরিক্ত অর্থব্যয়ের প্রয়োজনীয়তা কমবে বলে আশা অর্থমন্ত্রকের। সেক্ষেত্রে জিএসটির (GST) বোঝা যদিও কমার ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। ফলে আগামী সপ্তাহের আয়কর বিলের (Income Tax Bill) দিকে তাকিয়ে থাকবে হবে সাধারণ মানুষকে, বিমায় টাকার বোঝা আদতে কতটা কমছে তা বোঝার জন্য।

–

–

–

–

–

–

–