বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের পরিধি বাড়ছে প্রতিবছর। বুধবারের অষ্টম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে-এর (BGBS) মঞ্চে দাঁড়িয়ে একথা মুক্তকণ্ঠ শিকার করলেন সব শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধাররা। তার পরেও থামছে না বিরোধীদর কটাক্ষ। শিল্পগোষ্ঠীগুলির সামনেই মোক্ষম জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বললেন, বাংলার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন দেখে করছে অন্য রাজ্য।

এদিন BGBS মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেকেই বলেন বাণিজ্য সম্মেলন করে কী লাভ? অথচ আমাদের দেখে অন্য রাজ্য সম্মেলন করছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই বাণিজ্য সম্মেলন। বাংলায় এখন ধর্মঘটের সংস্কৃতি নেই।” মমতার কথায়, “বছর বছর কেন সম্মেলন, জানতে চান অনেকে। আমি বলব, আমরা শুরু করেছিলাম। এখন সব রাজ্য করছে। এতে ভুল কী? যুবসমাজ, আগামী প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে হবে। বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে আমাদের। এগিয়ে যেতে হবে। নইলে যুবসমাজ পেরে উঠবে না।”
বাংলার একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। বলেন, “আমাদের সরকারে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। বাংলায় বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগের জন্য আদর্শ বাংলা। ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্পে বাংলা এক নম্বরে। নারী ক্ষমতায়নে এক নম্বরে বাংলা। মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন। হাতে নগদ টাকা পাচ্ছেন। কন্য়াশ্রী পুরস্কার পেয়েছে বাংলা। সংসদে ৩৯ শতাংশ প্রতিনিধি মহিলা। দুয়ারে সরকার পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে। যেকোনও পরিবারের মহিলা সদস্যের নামে কার্ড।”
আরও খবর: BGBS-এ জুড়ল ভুটান থেকে ঝাড়খণ্ড: রাজ্যের পশ্চিম থেকে উত্তরে বাণিজ্যের প্রসার

মমতা বলেন, “১৩-১৪ টাকার বিনিয়োগ হয়নি। রাজনৈতিক কারণে কাউকে কৈফেয়ত দেওয়ার নেই আমার। শুধুমাত্র মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য আমি। দয়া করে সংখ্যাটা দেখুন। প্রমাণ হাতে নিয়ে বলছি। বাংলার প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের মধ্যে বাংলার অর্থনীতি অন্যতম বৃহত্তম। আমাদের ডিজিপি ১৯ লক্ষ কোটি টাকার হয়ে যাবে। দেশের ডিডিপি-র চেয়ে আমাদের জিডিপি বৃদ্ধির গতি বেশি।”

মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের রাজস্ব আয় বেড়েছে ৪ গুণ।, উন্নয়ন প্রকল্পে খরচ বেড়েছে ৭.৮০ গুণ। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলা এক নম্বরে রয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-এর প্রকল্পের আওতায় ২৫ বছর বয়স থেকে সারাজীবন হাতে নগদ পাচ্ছেন মহিলারা। তাঁর কথায়, আর কোনও রাজ্যে এমন ব্যবস্থা নেই। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়াও কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, যুবশ্রী, ঐক্যশ্রী প্রকল্প রয়েছে, রয়েছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প।

মমতার কথায়, বাংলা সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শে চলে। না করে বিরোরধীর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংসদে অনেকে আজকাল নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে অনেক কথা বললেও, তাঁর দল এই কাজ করে দেখিয়েছে। তৃণমূলের টিকিটে জয়ী মহিলা প্রার্থীদের হার ৩৯.৫ শতাংশ। সকলের উন্নয়নের সঙ্গেই দেশের উন্নয়ন জড়িয়ে রয়েছে।

–

–

–

–

–
