তিরুপতি ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের (Tirupati temple) প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মেশানো ঘি ব্যবহারের ঘটনায় এবার তিন ডেয়ারি সংস্থার চার মালিককে গ্রেফতার করলো সিবিআই নেতৃত্বাধীন SIT। ধৃতরা হলেন ভোলেবাবা ডেয়ারি (রুড়কি, উত্তরাখণ্ড)-এর প্রাক্তন পরিচালক বিপিন জৈন ও পৌলমী জৈন, বৈষ্ণবী ডেয়ারি (পুনমবাক্কম, তামিলনাড়ু)-এর সিইও (CEO)অপূর্ব বিনয়কান্ত চাওড়া এবং এআর ডেয়ারি (দুন্দিগাল, তেলেঙ্গানা)-এর MD রাজু রাজশেখরন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, বৈষ্ণবী ডেয়ারির প্রতিনিধিরা এআর ডেয়ারির নামে ভুয়ো টেন্ডার জমা দিয়েছিল তিরুপতি কর্তৃপক্ষের কাছে। এ ছাড়া, রুরকির ভোলে বাবা ডেয়ারি থেকে ঘি নেওয়া হয় বলে জাল নথিতে উল্লেখ করেছিল এই সংস্থা।

২০২৪ সালে দেশ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল তিরুপতি মন্দিরে লাড্ডু কেলেঙ্কারি। মন্দিরের প্রসাদে গোরু ও শুয়োরের চর্বি রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার জল গড়ায় শীর্ষ আদালতে। ভক্তদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ তদন্তকারী দল অনুসন্ধান করে জানায়, প্রসাদী লাড্ডু বানানোর ঘিয়ের মধ্যে পশুর চর্বি ও মাছের তেলের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ল্যাব রিপোর্ট। এরপরই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকা মূল মাথাদের খোঁজে ধরপাকড় আর তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। সিবিআইয়ের নেতৃত্বে একটি সিট (SIT) গঠন করা হয়। এই টিমে রয়েছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির দুই অফিসার, অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য পুলিশের দু’জন আধিকারিক, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার একজন সিনিয়র অফিসার এবং সেন্ট্রাল ফুড রেগুলেটর। তদন্তে জানা যায়, ভোলেবাবা ডেয়ারির পক্ষে বিপুল পরিমাণ ঘি সরবরাহ করা সম্ভব ছিল না। এর পর একাধিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই তিন সংস্থার কর্ণধারদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
–