কলকাতা ও শহরতলিতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছাবে রান্নার গ্যাস, মুক্তি হবে এলপিজি (LPG) বুকিং-এর হয়রানি থেকে। আর বছর দেড়েকের মধ্যেই গ্যাস সংযোগ পৌঁছে যাবে, দাবি প্রশাসনের। আপাতত ৭৯৫ কিলোমিটার পাইপলাইন (pipeline) বসানো হয়েছে। সেজন্য খরচ পড়েছে ৫,৩২২ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে সিএনজি (CNG) এবং পিএনজি (PNG) গ্যাস রান্নার জন্য সরবরাহ করা হবে। রাজ্য বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) জানিয়েছেন, রাজ্যে পাইপে রান্নার গ্যাস সরবরাহের জন্য কাজ চলছে।

এই প্রসঙ্গে প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির (Bengal Gas Company Limited) মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা গেইলের (GAIL) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অনুপম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে কলকাতার লাগোয়া নিউ টাউনে (Newtown) পাইপবাহিত গ্যাস সরবারাহ শুরু হবে। যেখান থেকে ধাপে-ধাপে ইএম বাইপাস (EM Bypass) লাগোয়া চিংড়িহাটা থেকে শহরতলির গড়িয়া পর্যন্ত এলাকায় তা পৌঁছে যাবে। বেঙ্গল গ্যাসের সিইও জানান, কল্যাণীর গয়েশপুর পর্যন্ত পাইপলাইন চলে এসেছে। এবার কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে ব্যারাকপুর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর পৌঁছে যাবে নিউ টাউনে। আপাতত নিউ টাউনের অভ্যন্তরীণ পাইপলাইন পুরোপুরি তৈরি হয়ে গিয়েছে। হলদিরামের কাছে পাইপলাইন পৌঁছালেই নিউ টাউনে পরিষেবা চালু করে দেওয়া যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

যদিও বেঙ্গল গ্যাসের (Bengal Gas Company Limited) সিইও মনে করছেন, বারাসত থেকে এয়ারপোর্ট (airport) এক নম্বর গেটের মধ্যে পাইপলাইন বসানোর ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। কাজের জন্য ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতরের থেকে অনুমোদন মিলে গিয়েছে। কিন্তু এরকম যানজটপূর্ণ রাস্তা খোঁড়ার কাজটা মোটেও সহজ হবে না। বরং সেই কাজটা কঠিন হতে পারে। আর সরকারের অন্যান্য দফতরের থেকেও অনুমোদন চাই বলে জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে, পুণর্নবীকরণযোগ্য শক্তির (renewable energy) ব্যবহারের উপর জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে যে পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়, সেটার ২০ শতাংশ যাতে অচিরাচরিত বা পুণর্নবীকরণ শক্তির মাধ্যমে পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। কৃষিক্ষেত্রে যে পাম্প ব্যবহার করা হয়, তা যাতে সৌরশক্তির মাধ্যমে চালানো যায়, সেটার উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে।

–

–

–

–

–

–

–
