Sunday, November 9, 2025

ডিএ নিয়ে ভোট রাজনীতি: বাম আমলের সঙ্গে তফাৎ বোঝালেন মমতা

Date:

Share post:

রাজ্যের ক্ষমতায় আসার সময়ই চেপেছে বাম আমলের ঋণের বোঝা। অন্যদিকে কেন্দ্রের সরকার বঞ্চিত করেছে রাজ্যের ন্যায্য পাওনা থেকে। তারপরেও বর্তমান তৃণমূল সরকার সরকারি কর্মচারিদের শুধুমাত্র মহার্ঘ্য ভাতা (DA) বাবদ এপর্যন্ত ব্যয় করেছে ২ লক্ষ কোটি টাকা, বিধানসভায় তথ্য পেশ খোদ মুখ্যমন্ত্রীর। যে বামেরা সরকারি কর্মীদের উস্কানি দিয়ে আন্দোলনে নামাচ্ছে, তাদের সঙ্গে তৃণমূল সরকারের অঙ্কের ফারাকটাও এদিন বিধানসভায় স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যেখানে রাজ্যকে বঞ্চিত করছে, সেখানে রাজ্যের বিজেপি নেতারা রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের উস্কানি দিচ্ছেন মহার্ঘ্য ভাতা (DA) নিয়ে। সেখানেই সরকারি কর্মীদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, যারা মাঝে মাঝেই নাটক করে সরকারি কর্মচারিদের (government employees) মাথার মধ্যে একটা কিছু ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাতে ভোটটা তারা পায়। সরকারি কর্মচারিরা আমার গর্ব। আমি বলব ওদের কুৎসায় কান দেবেন না। রাজ্য সরকার রাজ্য সরকারের পে কমিশন অনুযায়ী চলে। তার বেতন কাঠামো আলাদা। কেন্দ্রীয় সরকারের বেতন কাঠামো আলাদা।

এরপরই তিনি তুলে ধরেন বাম আমলে সরকারি কর্মীদের (governmnet employees) সঙ্গে বর্তমান সরকারের আমলে সরকারি কর্মীদের পার্থক্য। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর তথ্য পেশ, সিপিএম আমলে কত শতাংশ ডিএ হয়েছিল- ৩৫ শতাংশ। ১৩ হাজার কোটি টাকা দিতে হয়েছিল। আমরা ৯০ শতাংশ ডিএ (DA) দিয়েছিলাম। যার আর্থিক পরিমাণ ১ লক্ষ ৬৭ হাজার কোটি টাকা। আমরা ২০১৯ সালে ষষ্ঠ পে কমিশন (sixth pay commission) চালু করি। ফেল বেসিক পে-র সঙ্গে বেতন ২.৫৭ গুণ বৃদ্ধি হয়েছে। এই পে কমিশন অনুযায়ী বর্ধিত বেসিক বেতনের উপর ১৪ শতাংশ যে ডিএ আমরা ইতিমধ্যেই দিয়েছি তাতে ১৯ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এই বেজেটে আমরা আরও ৪ শতাংশ ডিএ দিচ্ছি। অর্থাৎ ১৮ শতাংশ। ২০১১ সাল থেকে আজ অবধি আমাদের সরকার ডিএ (DA) বাবদ প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করেছে। ৭৫ হাজার কোটি টাকার দেনা শোধ করে।

spot_img

Related articles

ফর্ম বিলি করতে গিয়ে ব্রেন স্ট্রোক! SIR-আতঙ্কে মৃত্যু এবার BLO-র

কারো নাম নেই ভোটার তালিকায়, কারো পরিচয়ে ভুল। এই সব আতঙ্কে যখন রাজ্যে একের পর এক সহনাগরিকদের মৃত্যু...

সংকটে ভারতীয় ফুটবল, কঠিন সময়ে সরব হলেন ইস্টবেঙ্গলের দুই তারকা

ভারতীয় ফুটবলে বিপণন করার কেউ নেই।দেশের সর্বোচ্চ লিগ না হলে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে ভারতীয় ফুটবল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।...

কীভাবে দত্তাবাদে খুন স্বর্ণ ব্যবসায়ী: এবার তদন্তে গোয়েন্দা বিভাগ

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বাসিন্দা। সোনার ব্যবসা করতেন নিউটাউনের দত্তাবাদে। দেহ পাওয়া গেল যাত্রাগাছির কাছে। খুনে নাম জড়ালো জলপাইগুড়ির...

‘ভূত বিড়াল’ কি শুধুই কল্পনার কাহিনী? বাস্তবে কোথায় দেখা গেল চাঁদনি রাতের বিড়াল

কালো নয়। ডোরা কাটাও নয়। বন বিড়াল। তবে সাদা। দেখা যায় শুধুই চাঁদনি রাতে। মানুষের থেকে ভূতের সঙ্গেই...