শিক্ষানীতিতে বদল আনতে চাইছে কেন্দ্র। আর সেই বদল আনার নাম করে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখার চক্রান্ত করছে!এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পেশ হল নতুন শিক্ষানীতি। এবং এদিন তা পাশও হয়ে যায়। এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি খুঁজে বের করা, বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ, অধ্যাপক, অশিক্ষক কর্মচারীদের বেতন, ছাত্রদের পড়ার খরচ, বিভিন্ন পরিষেবা সব দেবে রাজ্য আর উপাচার্য ঠিক করবে কেন্দ্র। এটা গৈরিকীকরণ ছাড়া আর কী! তাই কেন্দ্রের সার্চ কমিটির বিরুদ্ধে নতুন শিক্ষানীতি!

রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে পাঁচ জনের সার্চ কমিটি ছিল। তাতে রাজ্যপালের একজনের প্রতিনিধি (তিনিই সভাপতি), মুখ্যমন্ত্রীর একজন প্রতিনিধি, রাজ্যের শিক্ষা সংসদ, ইউজিসির এবং বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিলের একজন করে সদস্য থাকতেন। ব্রাত্য বলেন, এখন কেন্দ্র বলছে পাঁচজন নয় তিনজনের কমিটি করতে হবে। এর মধ্যে ইউজিসির একজন, রাজ্যপালের একজন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল মেম্বার একজন থাকবেন। অর্থাৎ তিনজনের মধ্যে দুজন কেন্দ্রের।

এদিন শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ওরা এভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করতে চাইছে। এরই প্রতিবাদে আমরা বিধানসভায় স্পিকারের অনুমতি নিয়ে নতুন শিক্ষানীতি পেশ করেছিলাম। তা এদিন পাশও হয়ে গিয়েছে। সার্চ কমিটি নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশের প্রতিবাদে বাংলার পাশাপাশি তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্ণাটক, পাঞ্জাব-সহ একাধিক রাজ্যও সরব হয়েছে ।

<span;>তিনি বলেন, ‘যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার কায়দা করতে পারছে না সেখানে ঘুরপথে ইউজিসির নিয়মের মধ্যে দিয়ে হস্তক্ষেপ করছে। তারা জানে এসব রাজ্যে সোজা আঙুলে ঘি উঠবে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পছন্দের লোক বসাতে চাইছে কেন্দ্র।’ ওই খসড়া প্রস্তাবের বিরোধিতা করে প্রস্তাব আনা হয় বিধানসভায়। আলোচনার পর প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।

–

–

–

–

–

–

–

–