শেষ মুহূর্তে পেত্রাতোসই লিগ শিল্ড জেতাল মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে। এদিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ওড়িশা এফসিকে ১-০ গোলে হারাল জোসে মলিনার দল। এদিন মোলিনার বুদ্ধি করে আক্রমণের ঝাঁজ না কমিয়ে তা চালিয়ে যাওয়ার স্ট্র্যাটেজিতেই বাজিমাত। দমবন্ধ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এল যুবভারতী। গর্জনে ফেটে পড়ল মোহন জনতা। ফের ভারতসেরা সবুজ-মেরুন ।

প্রথমার্ধেই ওড়িশার গোলে বার কয়েক হানা। মনবীরের একটা শট, জেমি ম্যাকলরেনের পেনাল্টির আবেদন, আর রহিম আলি ও লিস্টন কোলাসোর ব্যক্তিগত লড়াই। এর সঙ্গে ওড়িশার ডিফেন্সের ফাঁকফোকড় খোঁজার চেষ্টা চালালেও চ্যাম্পিয়নের মতো খেলতে পারছিল না মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট।

দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণে ঝাঁজ বাড়েনি ওড়িশার। আসলে আক্রমণ বারবার শেষ হয়েছে শুভাশিসদের পায়ে। যেন ড্র করতে নেমেছিল ওড়িশা। কারণ শিল্ড থেকে এক ম্যাচ জয় দূরে থাকা মোহনবাগানকে আটকানো যে আরও কঠিন তা সকলেই জানেন। এদিন যুবভারতীতে উৎসবের সমস্ত পরিকল্পনা তৈরিই ছিল। কেউ এসেছিলেন শিল্ডের প্রতিকৃতি নিয়ে।

৫৯ মিনিটে ক্ষমার অযোগ্য মিস করেন মনবীর। গ্রেগ স্টুয়ার্টের পাস থেকে ফাঁকায় পেনাল্টি বক্সের মধ্যে বল পেয়েও গোলে শট রাখতে পারেননি। ৬৩ মিনিটে সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন মোর্তাজা ফল। বিশাল কাইত তা বাঁচান। সেই কিছুটা সময় সবুজ-মেরুন ডিফেন্সকে একটু নার্ভাস লেগেছে। বিশাল কাইত কেন এ মরসুমের সেরা গোলকিপার তা আরও একবার বোঝালেন। হুগো বুমোসের দুটো শট বাঁচিয়ে।

দ্বিতীয়ার্ধে আরও বেশি হতাশা ঘিরে ধরতে থাকে মোহনবাগানকে। উপায় না দেখে ক্রাইসিস ম্যানেজার দিমিত্রি পেত্রাতোসকে নামাতে হয় মলিনাকে। একসঙ্গে তিন ফুটবলার বদল করে তারা। দীপকের জায়গায় অনিরুদ্ধ থাপা। আশিস রাইয়ের জায়গায় দীপেন্দু আর পেত্রাতোস আসেন টমের জায়গায়। ডিফেন্ডার তুলে আরও এক স্ট্রাইকার বাড়ান মোহনবাগান কোচ। তবুও ম্যাকলরেনদের গোল মিসের কারণে গোলমুখ খুলছিল না। পেত্রাতোস নেমেই একটা দারুণ শট নেন। দক্ষতার সঙ্গে বাঁচান অমরিন্দর। ৬০,০০০ ভরা যুবভারতী গর্জে ওঠে।

৮৩ মিনিটে পেনাল্টির আবেদন করেও পায়নি মোহনবাগান। তবে হরিশ কুন্ডু ফলকে ফাউলের জন্য সরাসরি লাল কার্ড দেখান। কারণ, পেনাল্টি বক্সের বাইরে হলেও, গোলমুখী আক্রমণে বাধা দিয়েছেন তিনি। তবে পেত্রাতোসের ফ্রিকিক ওয়ালে লেগেই ফেরে। এরপর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে দিমি ম্যাজিক । পেত্রাতোস কিছুটা দূর থেকেই পাস পেয়ে হঠাৎই শট করেন। তিনি যে গোল লক্ষ্য করে ওভাবে শট করবেন তা বোধহয় কেউই ভাবতে পারেননি। বুঝতে পারেননি অমরিন্দরও। একেবারে দ্বিতীয় পোস্টের কোণা ঘেষে বল ঢুকে যায় গোলে। আর এর সুবাদে ১-০ গোলে জয় মোহনবাগানের ।

আরও পড়ুন- সেবাশ্রয়ের ৫২ তম দিন: আর্তদের ব্যথা ‘শুনতে’ বজবজে অভিষেক

_

_

_

_

_
