যত সময় এগোচ্ছে ততই শ্রীশৈলম জলাধারের কাছের সুড়ঙ্গে আটকে (Telangana Tunnel Collapsed) থাকা শ্রমিকদের জীবিত উদ্ধার করা নিয়ে বাড়ছে আশঙ্কা। সেচের কাজে ব্যবহার করার জন্য তৈরি ওই সুড়ঙ্গটি মোট ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। মিনিটে প্রায় সাড়ে চার হাজার লিটার জল বের করেও নিশ্চিন্ত থাকা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গ-ধসে সাফল্য পাওয়া উদ্ধারকারী দলও। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDRF), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল (NDRF) এবং সেনার উদ্ধারকারী দলও। কিন্তু এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে থাকা ব্যক্তিদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ, সোমবার সকালে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মন্ত্রী জুপল্লি কৃষ্ণ রাও (Jupally Krishna Rao, Minister for Tourism and Culture of Telangana)।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে তেলেঙ্গানার নাগারকুর্নুল জেলায় শ্রীশৈলম জলাধারের পিছনের দিকে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গ ভেঙে পড়ে। সেই সময় বেশ কয়েকজন শ্রমিক ভেতরে কাজ করছিলেন। ১৪ কিলোমিটার পয়েন্টের কাছে তিন মিটার জায়গা জুড়ে একটি দেওয়ালের ছাদ ধসে যায়। আটকে পড়েন ৮ শ্রমিক। দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও সাফল্য আসেনি। সুড়ঙ্গের ভিতরে কাদার স্তর অনেকটা উঁচু হয়ে গিয়েছে। এর ফলে সেখানে হাঁটা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজের অভিজ্ঞতা থাকা ৬ বিশেষজ্ঞ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ক্রমাগত জল বের করার পাশাপাশি চলাচলের জন্য উদ্ধারকারী দল রবারের টিউব এবং কাঠের তক্তা ব্যবহার করছে। দুর্ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরে সোমবার সকালে মন্ত্রী কৃষ্ণ রাও বলেন, সব রকমের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু যা পরিস্থিতি তাতে ভিতরে আটকে পড়া চার শ্রমিক এবং নির্মাণ কাজের আধিকারিকদের জীবিত উদ্ধার করার আশা অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে আসছে।

–

–


–

–

–

–

–

–

–
