আজব দাবি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার পড়ুয়াদের একাংশের। অঙ্কে ফেল করেছেন, অথচ দাবি করছেন পাশ করিয়ে দিতে হবে। এই দাবিতে সোমবার দিনভর তারা ঘেরাও করে রাখলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত ও কয়েক জন আধিকারিককে।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনে একতলায় উপাচার্যের অফিস ঘরে রাতভর ঘেরাও অবস্থাতেই ছিলেন উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত৷ ছাত্ররা শুয়ে ছিলেন তারই ঘরে৷ গোটা অফিস চত্বরে ঘুম চোখে পাহারা দিচ্ছিলেন ছাত্ররা৷

জানা গিয়েছে, এবার শতাধিক পড়ুয়া অঙ্কে পাশ করতে পারেন নি। ফলে এদের কেউই স্কলারশিপের জন্যে মনোনীত হবেন না।সরকারি আধিকারিকদের দাবি, এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন জাল মার্কশিট তৈরি করে সরকারি স্কলারশিপের জন্যে আবেদন করেছিলেন।মার্কশিট যাচাই করার সময় এই জালিয়াতি ধরা পড়ে।আসলে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অঙ্ক পরীক্ষায় পাশ করতে না পারলে স্কলারশিপের জন্য আবেদনই করা যায় না।সেই কারণেই অঙ্কে পাশ করানোর দাবিতে তারা ঘেরাও আন্দোলন শুরু করেন।

মার্কশিটে অঙ্কের নম্বরে যে সব পড়ুয়া ‘জালিয়াতি’ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।বিষয়টি বিকাশ ভবন পর্যন্ত গড়িয়েছে। অভিযোগ, অঙ্কে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রদের অধিকাংশই ফেল করেছেন। ছাত্রদের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, প্রায় ১৩০ জনের মধ্যে ১০৫ জনই ফেল করেছেন।তাই নিয়েই প্রতিবাদ আন্দোলনে ছাত্ররা।

উপাচার্যের দাবি, ফেল করা ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যাটার গড়মিল হতে পারে, তবে অঙ্কে ফেল করেছে অনেকেই। কেন ফেল করেছে ডিপার্টমেন্টে কথা বলে জানতে হবে। কিন্তু আমাকে আটকে রাখার মূল কারণ এটা নয়। আসল কারণ হল, এরা অনেকেই মার্কশিটে ট্যাম্পারিং করে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করে ধরা পড়েছে। কিন্তু ছাত্রদের দাবি, এটা তারা আগেও করেছে। এই ধরণের কাজ তাদের করতে দিতে হবে। এই দাবি নিয়েই অনৈতিকভাবে আমাকে আটকে রেখেছে ওরা৷ আমাকে আটকে রেখে কিছুই করতে পারবে না। আমি ওদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেব না৷

–

–

–

–

–

–

–
