Thursday, August 21, 2025

এড়িয়ে যাওয়া! রাজ্য কমিটি তৈরি হলেও জেলা কমিটি নিয়েই বেকায়দায় সিপিআইএম

Date:

Share post:

সাত তাড়াতাড়ি রাজ্য সম্মেলন করে রাজ্য কমিটি গঠন হয়ে গিয়েছে। অথচ এখনো মেটেনি জেলা কমিটি নিয়ে অসন্তোষ। বাংলায় জেলা, গ্রামস্তরে বামেদের সাধারণ মানুষের সমর্থন তো দূরের কথা, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কতটা দূরত্ব তা এই জেলা কমিটি (district committee) তৈরি নিয়ে ফের প্রকাশ্যে। একাধিক জেলার সিপিআইএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক নিয়ম ভেঙে নির্বাচিত হওয়ায় দলের ভিতরে অসন্তোষ এবার প্রকাশ্যে।

ক্ষমতায় থাকা থেকে ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পরেও বারবার রাজ্যের মানুষের সমস্যা এড়িয়ে গিয়েছে। ২০১১ সালের পরেও রাজ্যের কোন সমস্যায় সমাধানের পথ দেখানো তো দূরের কথা, রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করে নতুন সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছেন সিপিআইএম (CPIM) নেতারা। রাজ্যের মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থেকে মূল্য বৃদ্ধির মত জ্বলন্ত ইস্যুগুলি থেকে পিঠ বাঁচিয়ে রেখেছে বামেরা। একইভাবে জেলা কমিটি তৈরিতে দলীয় কর্মীদের প্রতিরোধের সম্মুখীন হলে সেখানেও সহজ সমাধান খুঁজেছিল রাজ্য নেতৃত্ব।

জেলা কমিটির নির্বাচনে এবার বিভিন্ন জেলায় প্রতিরোধের মুখে পড়ে সিপিআইএম রাজ্য নেতৃত্ব। দলের উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া জেলা সম্পাদকদের মেনে নিতে চাইনি অনেক জেলাই। যার ফলে নিয়ম ভেঙে মালদহ, কোচবিহার, পূর্ব মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায় জেলা সম্পাদক নির্বাচন করে সিপিআইএম (CPIM)। কোচবিহারে (Coochbihar) বয়সের নিয়ম ভেঙে ফের সম্পাদক হন অনন্ত রায়। মালদহ (Maldah) ও পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur) তিনবারের সম্পাদক পদের মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও চতুর্থ বার সম্পাদক করা হয় যথাক্রমে অম্বর মিত্র ও নিরঞ্জন শিহিকে। আবার একাধিক দলীয় পদে থাকার পরেও বাঁকুড়ার (Bankura) জেলা সম্পাদক করা হয় দেবলীনা হেমব্রমকে।

একমাত্র উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ক্ষেত্রে দলীয় প্রতিরোধের মুখে জেলা সম্পাদক নির্বাচনে গা জোয়ারি করতে পারেনি রাজ্য নেতৃত্ব। সেখানে বদল হয়েছে জেলা সম্পাদক। নতুন সম্পাদক হয়েছেন পলাশ দাশ। কিন্তু কোচবিহার, মালদহ, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার ক্ষেত্রে প্রতিরোধ জোরালো না হওয়ায় রাজ্যের চাপিয়ে দেওয়া সম্পাদক গ্রহণ করেছে জেলাগুলি। কিন্তু নিয়ম ভাঙায় এবার প্রশ্নের মুখে রাজ্য কমিটি। ফলে দ্রুত এই জেলাগুলিতে ফের জেলা সম্পাদক বদল করার পথে সিপিআইএম।

সদ্য শেষ হয়েছে রাজ্য সম্মেলন। সর্বসম্মতিক্রমে রাজ্য সম্পাদক হয়েছেন মহম্মদ সেলিম (Mohammed Selim)। কিন্তু জেলাস্তরে কর্মীদের অসন্তোষ এড়িয়ে যাওয়া সিপিআইএম (CPIM) ব্যর্থ রাজ্য সম্মেলনের আগে জেলাগুলির প্রকৃত জেলা সম্পাদক খুঁজে পেতেই। সেখানেই প্রশ্ন, আর কতদিন শূন্যে নেমে যাওয়া নিজেদের দলের সমস্যাগুলিকে এড়িয়ে পার্টি লাইন চালাবেন।

spot_img

Related articles

কালা আইন এনে দুর্নীতি দমন! বিজেপির দুই শীর্ষ মন্ত্রীর মিথ্যাচার ফাঁস তৃণমূলের

সংবিধান সংশোধন করে নরেন্দ্র মোদি দেশ থেকে দুর্নীতি তাড়াবেন। বুধবার সংসদে কালা কানুন (Black Bill) জারি করার প্রথম...

বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ ভারতে নেই: বাংলাদেশের প্রশ্নের উত্তর ঘুরিয়ে দিল বিদেশ মন্ত্রক

ভারতেই লুকিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের বিতাড়িত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লিগের আরও নেতা মন্ত্রীদের লুকিয়ে থাকার সন্দেহও প্রকাশ করেছে...

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...