Saturday, August 23, 2025

আগে আইশৃঙ্খলা, পরে অন্য সব: তসলিমা নিয়ে শমীকের বক্তব্যের পাল্টা জবাব তৃণমূলের

Date:

Share post:

আগে আইশৃঙ্খলা। পরে অন্য সব। বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে কলকাতায় ফেরানো নিয়ে বিজেপি (BJP) সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের (Shamik Bhattacharya) মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সাফ জানালের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের (CPM) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, জ্বলন্ত সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতেই পরিকল্পিত ভাবে এই সব ইস্যু তুলছে বিজেপি।

১৮ বছর আগে বই নিয়ে বিতর্কের জেরে কলকাতা ছাড়তে হয় তসলিমা নাসরিনকে (Taslima Nasreen)। বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে কলকাতায় আশ্রয় নিয়ে ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে বাংলা ছেড়ে পরে দেশেও ছাড়েন ‘লজ্জা’র লেখিকা। পরে ফিরে আসেন দিল্লিতে। হঠাৎ তাঁকে নিয়ে সরব বিজেপি। সোমবার, কলকাতায় তসলিমাকে ফেরানোর আর্জি জানালেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।

সোমবার তসলিমাকে (Taslima Nasreen) কলকাতায় ফেরানোর জন্য সংসদে সওয়াল করেন শমীক। তসলিমাকে কলকাতা-ছাড়া করার জন্য বামেদের আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ। একই সঙ্গে নিশানা করেন কংগ্রেসকেও। আর্জি জানান, উপযুক্ত নিরাপত্তা দিয়ে ফেরানো হোক বিতর্কিত লেখিকাকে। হঠাৎ তসলিমার হয়ে আবেগে ভেসে শমীক বলেন, “তসলিমা কলকাতাকে ভালবাসেন। তিনি কলকাতায় থাকতে চান, বাংলায় কথা বলতে চান, বাংলায় কবিতা লিখতে চান।”

এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি সাংসদকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট করেন তসলিমাও। লেখেন, ”সাংসদ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআই) গুরুদাস দাশগুপ্ত ২০০৭ সালে আমাকে নিয়ে প্রথম কথা বলেছিলেন ভারতের সংসদে। আমি তখন সবে পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকার দ্বারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিতাড়িত। বাংলার টানে, প্রাণের টানে যে শহরে বসবাস শুরু করেছিলাম, সেই শহর থেকে কখনও যে বিতাড়িত হবে হবে, কল্পনাও করিনি। শ্রদ্ধেয় গুরুদাস দাশগুপ্ত এর প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি দাবি জানিয়েছিলেন, আমাকে যেন পশ্চিমবঙ্গে ফিরতে দেওয়া হয়। তারপর দীর্ঘ বছর কোনও রাজনীতিক আমার কলকাতায় ফেরা নিয়ে কোনও কথা বলেননি।”
আরও খবরনয়া  দৃষ্টান্ত  মমতা সরকারের, মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠী দেশ সেরা

এদিন সংসদ থেকে বেরিয়েই তসলিমা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বলেন, ”আগে আইনশৃঙ্খলাকে গুরুত্ব দিতে হবে। তারপর অন্য সব। আর যাঁরা বলছেন, তাঁরা কি হিন্দু নাকি? সব ভেকধারী হিন্দু।” কুণাল ঘোষ বলেন, ভুয়ো ভোটার তালিকা, সাম্প্রদায়িকতা-এই সব বিষয় থেকে নজর ঘোরাতেই এই সব প্রসঙ্গ উত্থাপন করছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস এতে পা দেবে না। তসলিমার টুইট প্রসঙ্গে, কুণালের মন্তব্য, সবার হাতে ফোন। সবার স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করার অধিকার আছে।

spot_img

Related articles

আমেরিকায় চিঠি–পার্সেল পাঠানোয় বিধিনিষেধ, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগের 

ভারত–মার্কিন শুল্কযুদ্ধের জেরে এবার বড়সড় প্রভাব পড়ল ডাক পরিষেবায়। আমেরিকায় চিঠি ও পার্সেল পাঠানোর প্রক্রিয়ায় বিধিনিষেধ জারি করল...

ডেঙ্গি সংক্রমণ রুখতে তৎপর রাজ্য! জেলাগুলিকে একগুচ্ছ কড়া নির্দেশ মুখ্যসচিবের 

রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ ক্রমশ বাড়তে থাকায় শনিবার নবান্নে জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব...

দায় বেসরকারিকরণ নীতির! মোদিরাজে পাঁচ বছরে চাকরি হারিয়েছেন লক্ষাধিক কর্মী

মোদি সরকারের আমলে বিগত পাঁচ বছরে চাকরি হারিয়েছেন লক্ষাধিক সরকারি কর্মী। সম্প্রতি লোকসভায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল কেন্দ্র।...

পুজোর আগে প্রায় দ্বিগুণ দুধ উৎপাদনে বাংলার ডেয়ারি 

কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে প্যাকেটজাত দুধের জোগান বাড়াতে রাজ্য সরকারি ব্র্যান্ড বাংলার ডেয়ারি বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে। পুজোর...