অস্থির দেশের অর্থনীতি। অস্থির উত্তর-পূর্বের মণিপুর (Manipur)। একের পর এক অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। সবকিছুকে ধামাচাপা দিতে লোকসভায় মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) তুলে ধরার চেষ্টা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। অন্য সব বিষয়কে পাশে সরিয়ে রেখে লোকসভায় শুধুমাত্র মহাকুম্ভ নিয়ে বক্তব্য দিতে উঠলেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর মুখে জায়গা পেল না মহাকুম্ভে স্বজন হারানো মানুষদের কথা। তাই নিয়েই কটাক্ষ বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)।

ভারতের বিরাট জাঁকজমক করার ক্ষমতাকে গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে মহাকুম্ভ, লোকসভায় কুম্ভ নিয়ে বক্তৃতায় দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকি জাতির জাগরণের বার্তা দিয়েছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh), এমনটাই দাবি করেন তিনি। লোকসভার বাজেট প্রশ্নোত্তর পর্বে মহাকুম্ভকেই ভারতের শক্তিপ্রদর্শণের ক্ষমতা হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister)।


মহাকুম্ভ নিয়ে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী লোকসভায় বলেন, দেশের কোটি কোটি মানুষের অবদান রয়েছে মহাকুম্ভকে সফল করে তুলতে। মহাকুম্ভের (Mahakumbh) এই সাফল্য দেশের জাগরণ এবং নতুন সাফল্যের প্রতি উদ্বুদ্ধ করবে। যারা ভারতের ক্ষমতাকে নিয়ে প্রশ্ন করে তাদের উত্তর দিয়েছে মহাকুম্ভ।

আর সেখানেই কটাক্ষ লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর। বাজেট আলোচনাতে প্রধানমন্ত্রী মহাকুম্ভ নিয়ে বললেও তার উত্তর দিতে কোন সুযোগই দেওয়া হয়নি বিরোধী দলনেতাকে। লোকসভার বাইরেই রাহুল গান্ধী মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন মহাকুম্ভ দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির বাহক। সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister) বক্তব্যকে আমি সমর্থন করি। কিন্তু আমার অভিযোগ, তিনি কুম্ভে (Mahakumbh) যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করলেন না। যে যুবকরা মহাকুম্ভে পুণ্য লাভের আশায় গিয়েছিলেন তাঁদের কর্মসংস্থান নিয়ে কোন বার্তাই দিলেন না দেশের প্রধানমন্ত্রী।


–

–

–

–

–

–

–
