সুনীতাদের মহাকাশযান ল্যান্ডিং না করে, কেন ‘স্প্ল্যাশডাউন’ করল প্রশান্ত মহাসাগরে !

তাই প্রশান্ত মহাসাগরে স্প্ল্যাশডাউনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

২৮৬ দিন মহাকাশে কাটানোর পর মাটিতে নেমে এলেন সুনীতা উইলিয়ামস, বুচ উইলমোর-রা। বুধবার ভোরে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে অবতরণ করল তাঁদের ক্যাপসুল। ল্যান্ডিং নয়, মর্ত্যে ‘স্প্ল্যাশডাউন’ করলেন সুনীতা-বুচসহ চার মহাকাশচারী। কিন্তু কেন জলে অবতরণ করতে হল তাঁদের?

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে স্পেসএক্স ক্যাপসুলে আনডকিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁরা রওনা দেন পৃথিবী অভিমুখে। ১৭ ঘণ্টার যাত্রা শেষে বুধবার ভোরে ফ্লোরিডার উপকূলে অবতরণ করে ক্যাপসুলটি। পৃথিবীর মাটি না ছুঁয়ে মহাকাশযানটি সমুদ্রে অবতরণ করে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘স্প্ল্যাশডাউন’। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানান, ল্যান্ডিং করাতে গেলে অনেক ঝুঁকি থাকে। স্প্ল্যাশডাউনে মহাকাশযান নিরাপদে অবতরণ করানো যায়। কেননা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় মহাকাশযানের গতি অত্যন্ত বেশি থাকে, যা ধাপে ধাপে কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয় প্যারাসুট। উচ্চতা ও গতি অনুযায়ী ওই প্যারাসুট খুলে ধীরে ধীরে অবতরণের গতি কমিয়ে দেয়। তারপর মাটিতে অবতরণ করলে ধাক্কা লেগে বিপর্যয় ঘটতে পারে মহাকাশযানে। নভোচারীদের জীবন পড়তে পারে ঝুঁকির মুখে। কিন্তু জলে সেই সম্ভাবনা একেবারেই কম। তাই প্রশান্ত মহাসাগরে স্প্ল্যাশডাউনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

তবে এক্ষেত্রেও বিপদ রয়েছে। প্রবল ঢেউয়ের কারণে মহাকাশযান উল্টে যেতে পারে। তবে মহাকাশচারীদের উদ্ধার অভিযানে বিপত্তি ঘটতে পারে।