Wednesday, August 20, 2025

বিধানসভায় চূড়ান্ত অসভ্যতা, স্পিকারকে কালো কাপড় দেখিয়ে কার্যাবলীর কাগজ ছিড়ে বিক্ষোভ বিজেপির 

Date:

Share post:

রাজ্য বিধানসভার (Assembly )বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে চূড়ান্ত অসভ্যতা ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়কদের। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) কক্ষে আসতে না আসতেই নিজেদের পকেট থেকে কালো কাপড়ের টুকরো বের করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন শংকর ঘোষ (Shankar Ghosh), অগ্নিমিত্রা পালরা (Agnimitra Paul)। বিধানসভার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন একটা বিষয়কে তুলে ধরে অধিবেশন ভন্ডুল করতে সকাল থেকেই মাঠে নামে গেরুয়া পার্টি। গন্ডগোল থামাতে মার্শালকে ডাকেন স্পিকার। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস দাবি জানায় চেয়ারের দিকে আঙ্গুল তোলা যায় না। বিধানসভার ভিতরে কালো পতাকা নিয়ে বিজেপির এই বিক্ষোভের জেরে তুমুল হহ-হট্টগোল হয়। বিধানসভার গেটের বাইরে কাগজ ছিঁড়ে, আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে বিজেপি। নেপথ্যে থেকে যে এই কর্মসূচি পরিচালনা করেন ‘গদ্দার’ অধিকারী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পরিকল্পনা মতোই গন্ডগোল পাকায় ভারতীয় জনতা পার্টি। বিধায়করা প্রত্যেকেই আগে থেকে সঙ্গে করে কালো কাপড়ের টুকরো এনেছিলেন। বারুইপুরে বিরোধী দলনেতার উপর আক্রমণ হয়েছে এই অভিযোগ করে তাঁরা বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙ্গুল তুলে তাঁর পদত্যাগের দাবি করেন। পালটা স্পিকারের দাবি, “হাওয়ায় চিৎকার করে গেল ওরা। স্পিকারের চেয়ারের দিকে এভাবে আঙুল তোলা যায় না। বিষয়টা সম্পূর্ণ বাইরের।” ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখায় শঙ্কর ঘোষ, মিহির গোস্বামী সহ বিজেপি বিধায়করা। আধ ঘন্টা বিক্ষোভ দেখানোর পর বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা।এরপর সোজা বিধানসভা গেটের বাইরে চলে যান তাঁরা। সেখানে কালো পতাকা দেখানো হয়। চলে স্লোগানিং। পোড়ানো হয় স্পিকারের কুশ পুতুল। পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাশি রাশি কাগজ এনে ছিঁড়ে ফেলা হয়। গেটের বাইরে ধর্নায় বসে গাড়ি চলাচল আটকে দেওয়ারও পরিস্থিতি তৈরি করে বিরোধীরা।বিধানসভা চত্বরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। এরপরই বারুইপুরের ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।বিজেপির এই ধরনের বিক্ষোভকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

পরে বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাঁর পদত্যাগের দাবি সম্পর্কে বিমানবাবু বলেন, স্পিকারকে চেয়ার থেকে সরানোর নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। কিন্তু বিজেপি সাংবিধানিক কোনও প্রক্রিয়ায় থাকতে চায় না। বিধানসভার ভিতরে সব কর্মসূচিতেই তাঁরা অদৃশ্য। এদিকে অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে বিধান সভায় অ্যাপ্রোপিয়েশন বিলের উপর আলোচনার সময় বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, বিধানসভা আজ এক রাজনৈতিক ধ্বংসলীলা সাক্ষী হলো। দর্শক আসনে উপস্থিত ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা কী শিখছে? ভবিষ্যতে তারাও রাজনীতিতে আসতে অনীহা প্রকাশ করবে। বিধানসভা অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে চলে যাওয়ায় মন্ত্রী বলেন, বিজেপি পালিয়ে গেল। কারণ ওদের দম নেই।

 

spot_img

Related articles

ডায়মন্ড হারবার না ইস্টবেঙ্গল, যুবভারতীতে আজ কার দাপট?

হাতে আর বেশি সময় নেই, ঘণ্টা তিনেকের মাথায় সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ডের সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলতে নামবে ডায়মন্ড হারবার...

JPC-র ঢাল দিয়ে লোকসভায় পেশ কালো আইন: সরব বিরোধীরা

গায়ের জোরে ২০২৩ সাল থেকে একের পর এক বিল পাশ, আইন পাশ করানোই নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ মোদি...

অভিনেত্রী নয়, ‘নেত্রী’ হওয়ার জন্য আয়নার সামনে ভাষণ প্র্যাকটিস সাবিত্রীর!

বাংলা সিনেমা জগতের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় (Sabitri Chatterjee) নাকি রাজনৈতিক নেত্রী হতে চেয়েছিলেন! আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রীতিমত...

হিটলারি আঘাত: ‘গণতন্ত্র হত্যাকারী’ সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় গর্জে উঠলেন মমতা

“কালো দিন, কালো বিল“ লোকসভায় সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ হওয়ার পরেই গর্জে উঠলেন বাংলা মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC)...