মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে বাংলায় বিনিয়োগে বিপুল সাড়া, লন্ডনে সরকারি-প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক

কুণাল ঘোষ, সফরসঙ্গী

বাংলায় বদলে যাওয়া শিল্পোন্নয়নের চিত্রটা মঙ্গলবার সভাতেই তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। শিল্পবান্ধব বাংলার ভূয়সী প্রশংসা করেন শিল্পপতিরা। এবার পালা সরকারি বন্ধ দরজা খুলে সেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে বাস্তবায়িত করা। সেই লক্ষ্যে বুধবার সরকারি স্তরে বৈঠক চলছে লন্ডনে। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও শিল্প, বাণিজ্য ও উদ্যোগের প্রধান সচিব বন্দনা যাদব লন্ডনে (London) সরকারি স্তরের বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন।

মঙ্গলবারের শিল্প সভায় মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন একাধিক শিল্পপতি। তারই পরবর্তি পদক্ষেপ হিসেবে ইউকে-র সরকারি স্তরে B2B, B2G বৈঠক শুরু হয়েছে। লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ইউকে-র অর্থনৈতিক ও শিল্প সম্পর্ক জোরদার করা। সম্ভাব্য বিনিয়োগের সুযোগ ও সহযোগিতা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বৈঠক চলছে।

বার্কলেসের সিইও স্টিভেন ফ্ল্যাহার্টি বাংলায় গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার স্থাপনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

স্কটিশ লাইফসায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের সিইও স্কট জনস্টোন চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি, রোগ নির্ণয়, ডিজিটাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, ফার্মা ইত্যাদি উৎপাদনে যৌথ উদ্যোগের বিষয়ে আলোচনা করছেন।

গ্র্যাভিট্রিসিটির (শক্তি সঞ্চয় প্রযুক্তি) চেয়ারম্যান মার্টিন রাইট পরিত্যক্ত খনিমুখকে পুনর্ব্যবহারের সম্ভাবনা বিষয়ে আলোচনা হবে।

ভেসুভিয়াস গ্রুপের জেনারেল সেক্রেটারি তথা ভেসুভিয়াস ইন্ডিয়ার বোর্ড মেম্বার হেনরি নোলস বাংলায় তাঁদের শিল্প সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করবেন।


আরও খবরবাংলা সেরার সেরা, সাফল্যের নজির তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা তৃণমূলের

বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর লন্ডন (London) শহরের এক অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিন ছিল মঙ্গলবার। লন্ডনের শিল্প সভায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে দেশের শিল্পপতিরা একবাক্যে বললেন, মমতার আমলে বাংলায় বদলে গিয়েছে শিল্প উন্নয়নের চেহারা। আর লন্ডনে ভারতের হাইকমিশনারকে পাশে নিয়ে বাংলায় বিনিয়োগের আহ্বান জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তথ্য দিয়ে জানালেন, কেন পশ্চিমবঙ্গ হবে বিনিয়োগের গন্তব্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) নেতৃত্বে বাংলার শিল্পের পুনর্জন্ম হয়েছে। তাঁর শিল্পনীতির প্রতিটি ধাপ লগ্নিবান্ধব। বৈঠকে শিল্প কর্ণধারদের প্রবল প্রশংসার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী যখন ব্রিটিশ (British) লগ্নি বাড়ানোর ডাক দেন তখন তাতে বিপুল সাড়া পড়ে। তারই পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আজ এই সরকারি ও প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা।