নরেন্দ্র মোদির জমানায় বিপন্ন ভারতের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা। ধর্মীয় মেরুকরণের যে রাজনীতি লোকসভার ভোটে নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বিজেপি, তার কড়া সমালোচনা মার্কিন ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষাকারী প্যানেলের। তারই ভিত্তিতে শিখ (Sikh) সম্প্রদায়ের উপর পরিকল্পিত হামলার ঘটনায় ভারতের গুপ্তচর সংস্থা (spy agency) র-কে (RAW) নিষিদ্ধ করার আর্জি জানানো হল। মার্কিন নির্বাচনের শুরুতে যেভাবে খালিস্তানি নেতা পান্নুন হত্যায় ভারতকে দায়ী করা হয়েছিল, ট্রাম্পের (Donald Trump) ক্ষমতায় আসার পরেও সেই মনোভাবের বদল হল না।

আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশনের (Commission of International Religious Freedom) বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালেই সবথেকে বেশি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের (religious minority) উপর আক্রমণের বার্তা ছড়ানো হয়েছে। তারপর থেকে ধর্মীয় ভেদাভেদের (discrimination) ঘটনা দ্রুত হারে বাড়তে শুরু করেছে। মূলত নির্বাচনের প্রচারের কথাই সেখানে তুলে ধরা হয়েছে।

রিপোর্টে দাবি, বিশেষত মুসলিম সম্প্রদায় ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি বিদ্বেষমূলক বার্তা (hate speech) ছড়ানো হয়েছে নির্বাচনী প্রচার থেকে। নরেন্দ্র মোদি ব্যক্তিগতভাবে মুসলিম সম্প্রদায়কে অনুপ্রবেশকারী (infiltrators) ও অতিরিক্ত সন্তান প্রসবকারী বলে উল্লেখ করেছিলেন, রিপোর্টে দাবি। স্পষ্টতই সেখানে বিজেপির বিদ্বেষমূলক বার্তাকেই মূল লক্ষ্য করা হয়েছে, যা নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর অনুগামীরা নির্বাচনে ধর্মীয় মেরুকরণের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারে মোদি বাহিনীর সাম্প্রদায়িকতার বার্তা যে মার্কিন মুলুকে প্রভাব ফেলেছিল সেই সময়ে, তা আবারও প্রমাণিত এই রিপোর্টে।

সেই প্রসঙ্গেই ২০২৩ সালে পান্নুন হত্যার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা কমিশন সেই প্রেক্ষিতেই ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থাকে (RAW) ফের একবার আমেরিকায় নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। যদিও কমিশনের রিপোর্টে সম্মতি এখনও পর্যালোচনাসাপেক্ষ।


ভারতের পক্ষ থেকে যদিও মার্কিন কমিশনের দাবিকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে। এই মুহুর্তে ভারতে উপস্থিত মার্কিন বাণিজ্য দফতরের একটি দল। ভারতের উপর শুল্ক (tariff) চাপানোর মার্কিন সিদ্ধান্ত আবার বিচার করা নিয়ে আলোচনা সেখানে চলছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার কাছে ভাবমূর্তি ধরে রাখা ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ। এই পরিস্থিতিতে কমিশনের রিপোর্টে কার্যত বেকায়দায় মোদি সরকার।


–

–

–

–
–

–
