দক্ষিণ কলকাতার কোন্দল পৌঁছল বিধাননগরে, অনুপমের বিরুদ্ধে ফের পোস্টার

গোষ্ঠী কোন্দল কোনও ভাবেই থামতে পারছেন না শুভেন্দু-সুকান্তরা। ফের দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি (BJP) সভাপতি অনুপম ভট্টাচার্যের (Anupom Bhattacharya) বিরুদ্ধে পোস্টার। এবার ঘটনাস্থল সল্টলেক। পোস্টারে লেখা, “দালাল চোর অনুপম ও অনুপম অনুগামী কোম্পানি হাটাও, দক্ষিণ কলকাতা বিজেপি বাঁচাও।“

এর আগে দক্ষিণ কলকাতা (South Kolkata) জুড়ে বিজেপি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে টাকার বদলে পদ পাইয়ে দেওযার অভিযোগ পোস্টার পড়ে। তার পরে তাঁর উপস্থিতিতেই মণ্ডল সভাপতির মুখে কালি লাগিয়ে দেওয়া হয়। এবার সল্টলেকের বিজেপি অফিসের বাইরে একাধিক জায়গায় অনুপম ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। তাতে লেখা, “দালাল চোর অনুপম ও অনুপম অনুগামী কোম্পানি হাটাও, দক্ষিণ কলকাতা বিজেপি বাঁচাও।“ তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রবল শোলগোল পড়ে। কালকাতার নেতারা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও, নদিয়ার কৃষ্ণনগরে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “পোস্টার রাজনীতি বিজেপি করে না। কারও যদি কারও বিরুদ্ধে সমস্যা থাকে, কথা বলা উচিত শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সঙ্গে। রাজনীতিতে সব হয়। তবে বিজেপির রাজনীতিতে গুলি-বোমা চলে না।”

তবে, দিলীপ ঘোষ যাই বলুন বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। গোষ্ঠীকোন্দল থামতে পারছে না বঙ্গ এমনকী কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্ব। সম্প্রতি হুগলি, বসিরহাট, বাঁকুড়ার পরে খাস দক্ষিণ কলকাতায় জেলা সভাপতি অনুপম ভট্টাচার্য (Anupom Bhattacharya) ও জেলার জেনারেল সেক্রেটারি জিতেন্দ্র সিং-এর ছবি দিয়ে অজস্র পোস্টার পড়ে। সেই হেন  অনুপম ভট্টাচার্যকে রবিবার ঠাকুরপুকুরের আনন্দনগর বাজার এলাকায় সংবর্ধনার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে শুরু হয় আদি-নব্যর লড়াই। গেরুয়া শিবিরের বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠীর কর্মীরা গিয়ে অনুপমের বিরুদ্ধে নানা অশালীন মন্তব্য করেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়। শেষে চেয়ার ছোড়াছুড়িও হয়। সেই ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যদিও ভাইরাল ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ‘বিশ্ববাংলা সংবাদ’। পরিস্থিতি গরম হতেই বিক্ষুদ্ধদের হাত থেকে দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি জেলা সভাপতিকে বাঁচাতে এগিয়ে যান মণ্ডল সভাপতি। তাঁকে ধরেই মুখে কালি মাখিয়ে দেন বিজেপিরই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী। পরিস্থিতি সামল গিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।

বিজেপির (BJP) গোষ্ঠী কোন্দল নতুন ঘটনা নয়। বঙ্গ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষদের আলাদা লবি। তাঁদের অনুগামীদের মধ্যে প্রায়ই দ্বন্দ্ব লেগেছে থাকে। এর পাশাপাশি আছে, মণ্ডল সভাপতি, জেলা সভাপতি, বিধায়ক, সাংসদদের মধ্যে কোন্দল। সব মিলেয়ে বঙ্গে পদ্মবনে ঝড় ওঠে প্রায়ই। আর তাতেই নয়া সংযোজন এই পোস্টার-কাণ্ড।