যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও রাজনৈতিক নেতা অথবা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বকে দিয়ে কোনও সেমিনার, মিটিং করা যাবে না। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এরই পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাতে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসে, সেই জন্য প্রয়োজনে বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। সেখানে আবেদন করা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক গেটে পুলিশ দেওয়া হোক। এমনকি স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পেরও আর্জি জানানো হয়।

সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার বৈঠকে বাম এবং অতি বামেরা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়।অধ্যাপকদের নিগ্রহ করার অভিযোগ ওঠে। খোদ উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পুরো বিষয়টি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে ।প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের পর্যবেক্ষণ, সব জানার পর শিক্ষামন্ত্রীর সেখানে যওয়া ঠিক হয়নি। পুরো বিষয়টি আদালতের কাছে স্পষ্ট নয়। এরপরই তিনি সেমিনার, মিটিং করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

রাজ্যের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যাদবপুরে গুন্ডারাজ চলছে। বশ মানে না এমন ঘোড়া ছুটে বেড়াচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমরা চাই শান্তি ফিরে আসুক। যা নির্দেশ দেবেন আমরা মেনে নেব।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের কোনও ক্ষমতা থাকে না। কারণ, তাদের হাতে কোনও অস্ত্র থাকে না। প্রয়োজনে বিশেষ বাহিনী মোতায়ন করতে হবে। যারা ছাত্র নয় তাদের খুঁজে বের করতে হবে। উপাচার্যসহ বাকিদের ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। তিন সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।


–


–

–

–

–
–

–

–