রাজ্যসভায় এপিক কার্ড নিয়ে আলোচনার দাবি অব্যাহত রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার, তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ জন সাংসদ রাজ্যসভায় এপিক কার্ড ইস্যুতে আলোচনা করার জন্য নোটিশ জমা দেন। তবে, রাজ্যসভা চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় এই সমস্ত নোটিশ খারিজ করে দেন। এর প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করে।

তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, সরকারের বিরুদ্ধে এপিক কার্ডে ভুয়া তথ্য থাকা এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলে তারা সরকারের বিরুদ্ধে একপ্রস্থ আন্দোলন শুরু করেছে। তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম এপিক কার্ডের কারচুপির অভিযোগ তুলে গোটা দেশে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করেছেন। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে এপিক কার্ডে গলদ পাওয়া গেছে বলে তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করছে।

সংসদের বাইরে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, “এপিক কার্ডে ভুয়া তথ্য থাকলে, তা পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে অকার্যকর করে তুলবে এবং স্বচ্ছ, অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়। এটা গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আক্রমণ।”

তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, এপিক কার্ড ইস্যুতে সংসদে আলোচনা করা অত্যন্ত জরুরি। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে টালবাহানা করা হচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর বলে তারা মনে করেন। এছাড়া, রাজ্যসভা ও সংসদ কক্ষে আলোচনা শুরু হলে কংগ্রেস রাজ্যসভা দলের নেতা মালিকার্জুন খারগে এপিক কার্ড নিয়ে সুর চড়ালেও চেয়ারম্যান তাকে থামিয়ে দেন। এর পর বিরোধী শিবিরও প্রতিবাদ জানিয়ে সভা থেকে ওয়াক আউট করে। তৃণমূল কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলি সরকারের উপর চাপ তৈরি করতে রাজ্যসভায় একত্রিত হয়ে স্ট্রাটেজি তৈরি করেছে বলে জানা গেছে।


আরও পড়়ুন- ২৯ মার্চ বোর্ডের বৈঠক, দলের পাশাপাশি চূড়ান্ত হবে বোর্ডের বার্ষিক চুক্তিও


_

_

_

_
_

_

_