ঘড়ির কাঁটায় সকাল ১১:৫০ মিনিট, আচমকাই কেঁপে উঠল মায়ানমার (Myanmar Earthquake), চোখের সামনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো বহুতল। আতঙ্কের ঘোর কাটিয়ে ওঠার আগেই দশ মিনিটের মাথায় ফের কম্পন। রিখটার স্কেলে প্রথম কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৭ দ্বিতীয়বারে হল ৭.১। জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্রের (NCS) মতে, এর উৎপত্তিস্থল মায়ানমারের সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর–উত্তরপশ্চিমে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ১০ কিলোমিটার গভীরে। একের পর এক আফটার শকে বিধ্বস্ত ব্যাংকক। বহু প্রাণহানির আশঙ্কা প্রশাসনের। ভূমিকম্পের প্রভাব পড়ল ভারত, চিন, বাংলাদেশ, লাওস, থাইল্যান্ডেও। কেঁপে উঠলো কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন পৃথিবীর ক্রমাগত প্লেট টেকটোনিক মুভমেন্টেের (ফলে একের পর এক ঝটকা অনুভব হচ্ছে৷ শুক্রবার মায়ানমারে যে কম্পন অনুভূত হয়েছে তার উৎসস্থল মাটি থেকে খুব একটা গভীর নয় যে কারণে তীব্রতা এত বেশি বলে অনুমান। চোখের সামনে যেভাবে একের পর এক বহুতল ধূলির সব হয়ে গেছে তাতে রীতিমতো আতঙ্কিত সাগাইং, এলাকার বাসিন্দারা। দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।NCS জানিয়েছে প্রথম ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মায়ানমারের বার্মার ১২ কিলোমিটার উত্তরে আর দ্বিতীয়টির উৎপত্তি হয় মায়ানমারের লকসকের ১৫১ কিলোমিটার পশ্চিমে। কম্পন এর তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরে রাজধানী ব্যাংককের একাধিক শপিংমল, হোটেল, রেস্তোরাঁ কেঁপে ওঠে, খেলনা বাড়ির মত ভেঙে পড়েছে নির্মীয়মান বহুতল। এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা সম্ভব হয়নি।

–

–


–


–

–

–

–
–

–

–