কলকাতা শহরে বেআইনি প্রোমোটিং (promoting) নিয়ে বারবার কড়া কলকাতা পুরসভা। পুরসভার নির্দেশিকার ফাঁক গলে যে ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ চালিয়েছে প্রোমোটাররা, তার প্রত্যেকটিকে চিহ্নিত করে এবার একের পর এক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু পুরসভার। বস্তি এলাকায় কোনওভাবে যাতে প্রোমোটিং না হয়, তা নিয়ে কড়া বার্তা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim)। সেই সঙ্গে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলাতেও জারি হচ্ছে নির্দেশিকা, জানালেন তিনি।

মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে পার্থক্য তুলে ধরেন এদিন মেয়র ফিরহাদ। তিনি স্পষ্ট করে দেন, বম্বের মতো নির্বাক দর্শক হয়ে ধারাভির মতো সব বস্তি প্রোমোটারকে দিয়ে দিতে দেব না। বস্তির নতুন নাম উত্তরণ (Uttaran)। উত্তরণের যাতে উত্তরণ হয় সেটা আমরা প্রত্যেককে বাংলার বাড়ি (Banglar bari) করে দেব। প্রত্যেককে নিজেদের বাড়ি করে দেব। তাতে প্রত্যেকে নিজেদের অধিকার পাবে। বস্তির উপর প্রোমোটারদের থাবা থেকে রক্ষা করা যাবে।


সেই সঙ্গে মেয়র জানান, বেআইনি নির্মাণে (illegal construction) শুধু গর্ত করলেই হবে না, একেবারে ভেঙে ধুলিসাৎ করতে হবে! পুর-কমিশনার ধবল জৈনকে এই মর্মে নির্দেশিকা প্রকাশের নির্দেশ দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। শুক্রবার ‘টক টু মেয়র’ শেষে এমনটাই জানিয়েছেন মহানাগরিক। তিনি বলেন, ডিমোলিশনের নামে একটা সামান্য গর্ত করে পুরসভার থেকে টাকা নিয়ে আমাদের বোকা বানাচ্ছে। এটা নিয়ে কমিশনার খুব তাড়াতাড়ি একটা সার্কুলার জারি করবেন।

পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের কোথাও বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত হলে পুরসভার তরফের প্রথমেই কাজ বন্ধের নোটিশ পাঠানো হয়। তারপর বিল্ডিং বিভাগের ঠিকাদাররা সেই বেআইনি নির্মাণ (illegal construction) ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার বরাত পান। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, একেবারে ডিমোলিশ না করে কন্ট্র্যাক্টররা সেই নির্মাণের কোনও অংশ ভেঙে দিয়েই চলে আসেন। পরবর্তীতে প্রোমোটাররা আবার সেই অংশ মেরামত করে ফ্ল্যাট বিক্রি করে দেন। আর তারপর অভিযোগ জানিয়ে ফোন আসে মেয়রের কাছে। তাই মেয়রের ভাষায়, আর গর্ত করে আসলে চলবে না। বেআইনি হলে পুরো ডিমোলিশ (demolish) করতে হবে! মেয়রের নির্দেশে খুব শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবেন পুর-কমিশনার ধবল জৈন।


–

–

–

–

–

–

–
