সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই গিবলি আর্টের ছড়াছড়ি। চ্যাটজিপিটি-কে দিয়ে নিজের ছবির অ্যানিমেটেড ভার্সন তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) পোস্ট বিষয়টিতে আপাত আমোদ রয়েছে। কিন্তু এর আড়ালের লুকিয়ে আছে বড় আশঙ্কা। কারণ এই চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে নকল আধার, প্যান কার্ড (Adhar Card-Pan Card)। হুবহু আসলের মত দেখতে এই পরিচয়পত্রগুলি নিয়ে এবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

চ্যাটজিপিটি যখন ওপেনএআই (OpenAI) লঞ্চ করে, তখন থেকেই এর নীতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা রক্ষা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। এইবার আশঙ্কার কারণ দেখা দিয়েছে এই চ্যাটজিপিটির ক্ষমতা নিয়ে। কারণ আধার কার্ড, প্যান কার্ডের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পরিচয় পত্র মুহূর্তে তৈরি করে ফেলা যায় এই অ্যাপের মাধ্যমে। এবং সেটা এতটাই নিখুঁত যে খালি চোখে ধরা মুশকিল।
সরকারি পরিচয় পত্রকে নকল হওয়ার থেকে বাঁচাতে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ফলে সেটি হুবহু নকল করা কঠিন। কিন্তু চ্যাটজিপিটির নয়া ভার্সন জিপিটি-৪ কয়েক সেকেন্ডে হুবহু আসলের মতো দেখতে পরিচয়পত্র তৈরি করে দিচ্ছে কয়েক সেকেন্ডে। নির্দিষ্ট কয়েকটি কম্যান্ডের মাধ্যমে আধার কার্ড তৈরি করে দিচ্ছে জিপিটি-৪। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই নকল কার্ডের ছবি।

এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যেভাবে সহজে নকল আধার কার্ড, প্যান কার্ড (Adhar Card-Pan Card) তৈরি হচ্ছে, তাতে নিরাপত্তায় বড় ঝুঁকি হবে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা একটাই সর্তক বার্তা দিচ্ছেন, AI অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। না হলে জেল-জরিমানা হতে পারে। কারণ এখানে যেমন কোনও ব্যক্তি নিজের ছবি ঠিকানা ব্যবহার করে নকল পরিচয়পত্র তৈরি করতে পারেন, সেরকমই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কোনও ব্যক্তির ছবি চুরি করে, তার পরিচয় ব্যবহার করেও সে কাজটি করতে পারেন। অতএব গিবলির আপাত নিরীহ কার্টুনে ভুলে আশঙ্কার বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন না- এটাই পরামর্শ সাইবার বিশেষজ্ঞদের।

–

–

–

–

–

–
