বছর দুয়েক আগে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু দু-বছর ধরে তার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ নেই পরিবারের। এমনকী ফোনেও কথা হয়নি। জামাইকে বহুবার কথা বলিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন।বাড়ির পাশেই পোঁতা ছিল মহিলার মৃতদেহ। অথচ পচা দুর্গন্ধও পান নি প্রতিবেশীরা।দু-বছর পর সেই এলাকারই আর্বজনার স্তূপ থেকে উদ্ধার হল ওই মহিলার কঙ্কাল। সেটি উদ্ধার করে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কিনারা করল পুলিশ। ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের(UTTARPRADESH) বিজনর এলাকায়। দু’বছর আগে ২৮ বছর বয়সি আফিসাকে খুন করে বাড়ির কাছে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী, দেওর ও তাদের কাকিমার বিরুদ্ধে।

ঘটনার সূত্রপাত ২০২৩ সালের শেষের দিকে থেকে। হঠাৎই আসিফার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় তার বাব-মার। জামাইকে বারবার মেয়ের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়ার কথা বললেও তিনি বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে এড়িয়ে যেতেন বলে অভিযোগ। এদিকে মেয়ে বাড়িতেও আসে না। আসিফা সংসারে ব্যস্ত ভেবে প্রথম দিকে বিষয়টি আমল দেননি পরিবারের সদস্যরা।কিন্তু বছরের পর বছর কেটে যাওয়ায় পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি(MISSING DIARY) করে পরিবার। তারপরই শনিবার পুলিশ হাজির হয় আসিফার শ্বশুরবাড়িতে। সেখানে তাকে দেখতে না পেয়ে স্বামীকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। তারপরই উদ্ধার হয় কঙ্কাল।

পুলিশের দাবি, আসিফার স্বামী কামিল জেরায় স্বীকার করেছেন তিনি স্ত্রীকে খুন করে, দেহ পাশের জায়গায় পুঁতে দিয়েছে। এই ঘটনায় তাকে সাহায্য করে তার ভাই আদিল ও তাদের কাকিমা। কামিল জানিয়েছেন, আসিফা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত, এই সন্দেহে অশান্তি হত। অবশেষে তিনি, ভাই ও মাসি মিলে আসিফাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। তারপর দেহটি বাড়ির পাশের আর্বজনার স্তূপের মধ্যে পুঁতে দেন। ৫ এপ্রিল সেই আর্বজনার স্তূপের মধ্যে থেকে আসিফার কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কামিল ও আদিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে অভিযুক্ত মহিলার খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

–


–


–

–

–

–
–

–

–