শুভমন গিল(Shubman Gill) ও ওয়াশিংটন সুন্দরের(Washington Sundar) ৯০ রানের বিধ্বংসী পার্টনারশিপে ভর করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ঘরের মাঠে বিরাট জয় গুজরাত টাইটান্সের(Gujarat Titans)। ১৬ ওভার ৪ বলেই ম্যাচ জিতে নিল শুভমন গিলের গুজরাত টাইটান্স। সেইসঙ্গেই ৪ ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে এখন দ্বিতীয় স্থানে গুজরাত টাইটান্স। ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতল গুজরাত টাইটান্স।

টস জিতে এদিন প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন গুজরাত টাইটান্স অধিনায়ক শুভমন গিল। শুরু থেকেই বল হাতে বিধ্বংসি ফর্মে ছিলেন মহম্মদ সিরাজ(Mohammed Siraj)। এদিনই আইপিএল(IPL) কেরিয়ারে শততম উউকেটও নিলেন তিনি। সেইসঙ্গে তৈরি করলেন বিশেষ মাইলফলকও। এদিন একাই ১৭ রান দিয়ে মাত্র ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন মহম্মদ সিরাজ। কার্যত তাঁর ইনিংসটাই যে এদিন গুজরাত টাইটান্সকে জয়ের রাস্তায় এগিয়ে দিয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ(SRH) বরাবরই কঠিন প্রতিপক্ষ। সেখানে আবার তাদেরকে প্রথমে ব্যাটিং করতে দেওয়ার সুযোগ। ট্রেভিস হেড(Travis Head), ঈশান কিষাণরা(Ishan Kishan) থাকলেও, ঝুঁকি নিয়েছিলেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। আর তাতেই বাজিমাত। অভিষেক শর্মা এবং ট্রেভিস হেডকে ৩৮ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন মহম্মদ সিরাজ। ঈশান কিষাণ প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার শিকার।

৫০ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারকে খুইয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল সানরাইজার্স। আর সেই জায়গা থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি হেনরিখ ক্লাসেনরা। শেষের দিকে প্যাট কামিন্সের ৯ বলে ২২ রানের ইনিংসে ভর করে কোনওরকমে ১৫০ রানের গন্ডী টপকেছিল হায়দরাবাদ। গুজরাতের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৫৩ রান।


জস বাটলার(Jos Buttler) এদিনও ব্যর্থ। তিনি ফেরেন শূন্য রানে। গুজরাতের(Gujarat Titans) আরেক ওপেনার সাই সুদর্শন ফেরেন ৫ রানে। ১৫ রানের মধ্যে ২ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল গুজরাত টাইটান্সও। কিন্তু সেই জায়গা থেকেই হাল ধরেন শুভমন গিল। তাঁর ৬১ রান এবং ওয়াশিংটনের ৪৯ রানের পারফরম্যান্সটাই জয়ের রাস্তাটা তৈরি করে দিয়েছিল।


শেষ মুহূর্তের রাদাফোর্ডের ১৬ বলে ৩১ রানের ঝোরো ইনিংস। সেইসঙ্গেই ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানটাও পাকা করে ফেলে গুজরাত টাইটান্স।

–

–

–
–

–

–