সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাজ্যের একটা বড় অংশের স্কুলে শিক্ষক সংকট। ইতিমধ্যেই ক্ষতির মুখে এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকের সংকটের কারণে। প্রাথমিকভাবে এসএসসি (SSC) মামলার রায়ের উপর রিভিউ পিটিশন দাখিল করার পথে রাজ্য সরকার। কিন্তু ততদিন স্কুলগুলিতে যাতে পড়ুয়ারা কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য তৎপর উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE)। এবার স্কুলগুলিতে পঠন পাঠন চালিয়ে যেতে স্কুলগুলিকে একাধিক সুপারিশ সংসদের।

বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রাজ্য শিক্ষানীতিতে বলা রয়েছে, কোন স্কুলে শিক্ষকের ঘাটতি হলে সেই এলাকায় ক্লাস্টার (cluster) তৈরি করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। এবার সেই পদ্ধতিই জেলার স্কুলগুলোকে অবলম্বন করার পরামর্শ দিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE)। তবে শুধুমাত্র জেলার স্কুল নয়। রাজ্য সরকারের আওতাধীন যে কোনও স্কুল মনে করলেই ক্লাস্টার তৈরি করে ক্লাস নিতে পারে।

এই ক্লাস্টার নিয়ম আসলে কী? রাজ্য শিক্ষানীতি বলছে, যদি কোনও স্কুলে কোনও বিষয়ের শিক্ষক না থাকে তাহলে আশেপাশের যে স্কুলে ওই বিষয়ের শিক্ষক আছে সেই স্কুলগুলোর সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকদের নিয়ে একটি ক্লাস্টার (cluster) তৈরি করা হবে। এরপর একটি স্কুলে গিয়ে যে স্কুলে ওই বিষয়ের শিক্ষক নেই সেই স্কুলের পড়ুয়ারা গিয়ে ক্লাস করবে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোনও শিক্ষকরা মনে করলে এই ক্লাস্টার পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। তবে বাধ্যবাধকতা নেই।

সেই সঙ্গে এই পদ্ধতি চালু করা নিয়ে সাহায্যের বিষয়ে তিনি জানান, এই পদ্ধতি নিয়ে স্কুল পরিদর্শকরা অবহিত আছেন। প্রধান শিক্ষকরা চাইলে স্কুল পরিদর্শকদের (DI) সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই নিয়ম আগেও ছিল। ক্লাস্টার (cluster) নিয়ম অবলম্বন করলে একদিকে যেমন শিক্ষক (SSC teachers) কম থাকার সমস্যা মিটবে তেমনই বিভিন্ন স্কুলের ছাত্ররা একসঙ্গে ক্লাস করলে নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করতে পারবে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে। ফলে তাদের মধ্যে চিন্তা ভাবনারও বিকাশ ঘটবে।

–

–

–

–

–

–

–
