আইএসএলের(ISL) রং সবুজ-মেরুন(Green and Maroon)। জেমি ম্যাকলরেনের(Jamie Mclaren) দুরন্ত গোলে বেঙ্গালুরু এফসিকে ২-১ গোলে হারিয়ে আইএসএল ট্রফি চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট(mbsg)। গতবার হাবাস পারেননি। কিন্তু হোসে মোলিনা(Jose Molina) করে দেখালেন। যুবভারতীতে পিছিয়ে থেকেও এদিন দুর্ধর্ষ কামব্যাক। ইতিহাস তৈরি করল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। শিল্ড জেতার পর এবার আইএসএল ট্রফিটাও নিজেদের ঘরেই রাখল মোহনবাগান। রেফারির ফাইনাল বাঁশিটা শুধু বাজার অপেক্ষা ছিল। এরপরই মাঠে শুরু সেলিব্রেশন। ফুটবলাররা মাঠে। আর গ্যালারী তখন সবুজ-মেরুন আবির, মশালে উজ্জ্বল। আর গোটা মাঠ জুড়ে তখন একটাই আওয়াজ। “জয় মোহনহবাগান”

জেসন কামিন্স(Jason Cummings) সমতায় ফেরায় মোহনবাগানকে(MBSG)। তবে আসল বাজিমাতটা করেন জেমি ম্যাকলরেন(Jamie Maclaren)। কেন তিনি বিশ্বকাপার, সেটা বোধহয় এদিনের যুবভারতীতে(YBVK) ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন। একটাই সুযোগ, আর সেটাই গোল। সেইসঙ্গেই যুবভারতী জুড়ে উচ্ছ্বাস সবুজ-মেরুন সমর্থকদের। ফাইনালের মঞ্চে নায়ক যে ম্যাকলরেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

ম্যাচে নামার আগে থেকেই প্রত্যাশার পারদ চড়তে শুরু করেছিল। চাপটা যে মোহনবাগান(MBSG) ফুটবলারদের ওপরই বেশি ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন তারা। সেইসঙ্গে গ্যালারি থেকে দর্শকদের গর্জন। তবে প্রথমার্ধে গোলের মুখ খুলতে পারেনি সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। যে সুযোগ গুলো এসেছিল, কাজে লাগাতে পারলে হয়ত এগিয়ে যেতেই পারত তারা। কিন্তু হয়নি।

বিরতির পরই আত্মঘাতি গোল অ্যালবার্তো রডরিগেজের। কিছুক্ষণের জন্য গোটা যুবভারতী যেন নিস্তব্ধ। তবে সেটা ছিল কিছুক্ষণের জন্য। এরপরই ম্যাকলরেনদের(Jamie Maclaren) তাঁতাতে শুরু করে সমর্থকরা। আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়াতে শুরু করে মোহনবাগানও। মোলিনার ছক বদল। শুরু মুহূর্মুহু আক্রমণ। কখনও ম্যাকলরেন, তো কখনও কামিন্স। তো আবার স্টুয়ার্ট। বেঙ্গালুরুর(BFC) রক্ষণকে ক্রমশ চাপে ফেলতে থাকা তারা। সেখানেই ম্যাকলরেনকে আটকাতে গিয়ে ভুল করে হ্যান্ডবল। মোহনবাগান পেনাল্টি পায়। জালে বল জড়াতে ভুল করেননি জেসন কামিন্স। সমতায় ফেরে মোহনবাগান। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।



সেখানে আর মোহনবাগানকে আটকে রাখতে পারেনি বেঙ্গালুরু রক্ষণ বাহিনি। জেমি ম্যাকলরেনের(Jamie Maclaren) দুরন্ত শট, গুরপ্রীতের কিছুই করার ছিল না আর। এরপর শুধুই সকলের অপেক্ষা ছিল রেফারির শেষ বাঁশিটা বাজার। অতিরিক্ত সময় শেষ হতেই দিমি, কামিন্সের স্টেনগান চালানো শুরু। আর গোটা মাঠ জুড়ে তখন একটাই আওয়াজ জয় মোহনবাগান।


–

–

–

–
–

–

–