বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBSSE) দায়ের করা মামলা শুনানি সম্ভাবনা। তার আগেই রাজধানীতে আন্দোলনে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা (untainted teachers)। শুনানির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক সমাজ। কলকাতায় শিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় তাঁরা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ১৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কারা কি অবস্থান নেন তা দেখে তারা পরবর্তী পদক্ষেপ বিবেচনা করবেন। বুধবার দিল্লির যন্তরমন্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চলাকালীন তাঁরা বার্তা দিলেন তাঁরা প্রায় এক মাস ব্যাপী আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। মূলত বাংলাতেই আন্দোলন জারি থাকবে।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে বাংলার বিরাট সংখ্যায় স্কুল শিক্ষক সংকটে পড়বে ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তে। সেই মতো রায়ের পুণর্বিবেচনার (review petition) আবেদন জানানো হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের তরফেও রায় পুণর্বিবেচনার আবেদনে রিভিউ পিটিশন দাখিল করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তার আগেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) দায়ের করা আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা বৃহস্পতিবার।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মামলার শুনানির দিকে তাকিয়ে যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকরা। সেই শুনানিতে একদিকে শিক্ষক না থাকায় বঞ্চিত রাজ্যের বিপুল সংখ্যায় পড়ুয়ার জন্য যেমন সওয়াল চালাবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBSSE), তেমনই রায়ের পুণর্বিবেচনায় (review) চাকরি বাতিলের রায়েরও বদল হওয়ার আশা রাখছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। সেই মামলায় কারা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিরোধিতা করছে তার উপরই কারা চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে রয়েছেন, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন আন্দোলনে নামা শিক্ষক সমাজ।

বুধবার যন্তর মন্তরের বাইরে শিক্ষক সমাজের ৭০ জন অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। তাঁরা তাঁদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। সংবিধানের উল্লেখ করে তাঁরা তাঁদের দাবি পেশ করেন।


–


–
–

–
–
–

–
