পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে সরব হলেন উত্তরাখণ্ডের জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্য। দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় নজর না দিয়ে শুধু কৃতিত্বের প্রচারে ব্যস্ত থাকার জন্য নরেন্দ্র মোদির তীব্র সমালোচনা করেছেন জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ।

পহেলগাঁও ইস্যু নিয়ে মোদিকে খোঁচা দিয়ে উত্তরাখণ্ডের শঙ্করাচার্য বলেন, একসময় সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেকে দেশের চৌকিদার বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু সেই চৌকিদার গেল কোথায়? নাকের ডগায় এতবড় সন্ত্রাসবাদী হামলা ঘটল কীভাবে? কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা রুখতে ও দেশকে নিরাপত্তা দিতে মোদি সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলে তীব্র সমালোচনা করেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। তিনি বলেন, এই ব্যর্থতার জ্বলন্ত উদাহরণ হল বৈসরনে কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না, জঙ্গিরা ঢুকে ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের প্রাণ নিয়ে গেল। শঙ্করাচার্য আক্ষেপের সুরে বলেন, জঙ্গিরা ওখানে প্রবেশ করে এতজনকে মেরে পালিয়ে গেল, আর তারা কোথা থেকে এল সেটাই এখনও পর্যন্ত ঠিক করে জানাতে পারছে না সরকার! পহেলগাঁও কান্ড দেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ এবং এর উপয়ুক্ত জবাব মোদি সরকারকে দিতে হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ।

এর পাশাপাশি পাকিস্তানকে সিন্ধুর জল আটকানো নিয়ে মোদির মিথ্যাচারের পর্দাফাঁসও করে দেন শঙ্করাচার্য। সিন্ধু নদের জল আটকে পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাত করা নিয়ে যে দাবি করেছে কেন্দ্র, তার পরিপ্রেক্ষিতে স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে জানান, এবিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এবিষয় কথা বলেছেন তিনি। প্রকৃতপক্ষে সিন্ধুর জল রোখা কোনওভাবেই সম্ভবপর নয়। মোদি সরকার চোখে ধুলো দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জেনেছেন, আগামী ২০ বছর সিন্ধুর জল আটকানোর গোটা প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে। আর এই বাস্তবতা আড়াল করে প্রচার চলছে।

আরও পড়ুন – ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধের পর ওষুধ-সংকটের মুখে পাকিস্তান

_

_

_

_

_

_

_

_

_
