হামলার পরে হ্যান্ডলারদের খোঁজ কাশ্মীরে! বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে জোর আলোচনায় 

২২ কিলোমিটার পথে নিরাপদে আসতে কাশ্মীরের কোনও হ্যান্ডলারই (handler) যে তাদের (militant) সাহায্য করেছিল, এমনটা অনুমান গোয়েন্দাদের

কাশ্মীরে জঙ্গি নেই – এটা প্রমাণ করতে গিয়েই কি প্রাণ দিতে হলো ২৬ পর্যটক কে? পহেলগাম হামলা (Pahalgam attack) পরবর্তীতে বারবার এই প্রশ্ন উঠছে। জঙ্গিদের (militant) বাড়ি উড়িয়ে, হ্যান্ডলারদের (handler) খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে ক্ষমতা দেখাতে চাইছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। সেখানেই বিরোধীদের প্রশ্ন, যদি জঙ্গি ও হ্যান্ডলারদের খোঁজ চালানো এতই সহজ, তবে এতদিন কেন সক্রিয় হয়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA)। অন্যদিকে কেন্দ্র সরকার যেভাবে যুদ্ধ জিগির তুলেছে তার সঙ্গে সহমত না হয়ে আলোচনার প্রস্তাবেই সম্মতি জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার (Jammu and Kashmir Assembly)।

শক্তি প্রদর্শনে বারবার সেনার মহড়া ও যুদ্ধের অস্ত্রের ছবি তুলে ধরছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA)। আবার সেইসব ছবি সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞাও জারি হচ্ছে। আদতে জঙ্গিদের বাড়ি গুঁড়িয়ে ক্ষমতার প্রদর্শনে কি লাভ হচ্ছে দেশের নিরাপত্তায়, প্রশ্ন তুলেছে বাংলা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার প্রকাশ্যে আসছে জঙ্গিদের সাহায্যকারী হ্যান্ডলার-বিরোধী অভিযানের খবর। ইতিমধ্যেই হ্যান্ডলারদের (handler) তালিকা তৈরি করে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কাজিয়াবাদে এক হ্যান্ডলারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।

গোয়েন্দা সূত্র অনুসারে, কোকেরনাগ জঙ্গলের পথে প্রায় ২২ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ ট্রেকিং করে বৈসারন ভ্যালিতে পৌঁছেছিল জঙ্গিরা। এই ২২ কিলোমিটার পথে নিরাপদে আসতে কাশ্মীরের কোনও হ্যান্ডলারই (handler) যে তাদের (militant) সাহায্য করেছিল, এমনটা অনুমান গোয়েন্দাদের। ফলে ভারত-পাক সীমান্তের জঙ্গিদের সব এন্ট্রি পয়েন্টে হ্যান্ডলারদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে পহেলগাম হামলা পরবর্তী পরিস্থিতিতে যেরকম যুদ্ধ জিগির কেন্দ্রের সরকার তুলেছে তা থেকে ভিন্ন পথে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা (Jammu and Kashmir Assembly)। সোমবারই জঙ্গি হামলা পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় বিধানসভায়। নিহত পর্যটকদের প্রতি শোক জ্ঞাপন করা হয় পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের বিধায়কদের দাবি যে কোনও পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা না করলে আখেরে বিপদে পড়বেন কাশ্মীরের বাসিন্দারাই। তাই আলোচনাই এই সন্ত্রাসের পথ থেকে শান্তি ফিরিয়ে আনতে একমাত্র পথ বলে দাবি কাশ্মীরের বিধানসভার।