কাজি, দারুল বা শরিয়ত আদালত নিয়ে বড় পর্যবেক্ষণ জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এক মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানায়, কাজি, দারুল বা শরিয়ত আদালত- নাম যাই হোক, তাকে মান্যতা দেয় না সংবিধান। এমনকী এই খাপ আদালতের সিদ্ধান্ত আইনিভাবে কখনই লাগু হতে পারে না বলেও পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

২০০২ মামলাকারী মহিলা ইসলামি রীতিনীতি মেনে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। ২০০৮ সালে দারুল কাজা আদালতে এই স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানান। ভরণপোষণের জন্য ওই বছরই পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হন মহিলা। ২০০৯ সালে বিবাহবিচ্ছেদ মঞ্জুর গৃহীত হলেও ভরণপোষণের দাবি খারিজ করে শরিয়া আদালত। জানায়, যেহেতু ওই স্বামী তাঁকে পরিত্যাগ করেননি তিনি নিজে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন, সুতরাং ভরণপোষণ দিতে স্বামী বাধ্য নন। এই খাপ আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে মহিলাকে ভরণপোষণ না দেওয়ার সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট (Allahabad High Court)। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা উঠলে ২০১৪ সালে বিশ্বলোচন মদন বনাম ভারত সংঘের মামলার উদাহরণ তুলে ধরে বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া ও বিচারপতি আহসানুদ্দিন আমানুতুল্লার বেঞ্চ। হাই কোর্টের তীব্র সমালোচনা করে তার রায় বাতিল করে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি জানান, এই ধরনের শরিয়া আদালতের কোনও আইনি মান্যতা নেই। আবেদনকারী মহিলার পক্ষে রায় দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, তাঁর প্রাক্তন স্বামীকে আবেদনের দিন থেকে ভরণপোষণ বাবদ প্রতি মাসে ৪ হাজার টাকা করে দিতে হবে।
আরও খবর: পহেলগাম হামলায় জড়িত হাসিম মুসা! পাক-যোগের অকাট্য প্রমাণ সামনে আসছে

বিচারপতি আমানুতুল্লা স্পষ্ট জানান, “কাজির আদালত, দারুল আদালত বা শরিয়া আদালত নাম যাই হোক না কেন, সাংবিধানিক এদের কোনও আইনি মর্যাদা দেয় না। এদের নির্দেশ কোনওভাবেই বাধ্যতামূলক নয়। জোর করে তা প্রয়োগ করাও সম্ভব নয়। এই সিদ্ধান্ত তখনই প্রাসঙ্গিক হতে পারে যখন অপর পক্ষ স্বেচ্ছায় এই নির্দেশ মানে। এবং সেই নির্দেষ যদি সংবিধানের আইনকে লঙ্ঘন না করে।”

–

–

–

–

–

–

–

–

–
