Saturday, August 23, 2025

রাতেই POK-তে হামলা, বুধের সকালে দেশজুড়ে অসামরিক মহড়া 

Date:

Share post:

কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার প্রায় দু সপ্তাহ পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালালো ভারত (Indian Army Attack POK)। বদলা নেওয়ার পালা শুরু। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের(Defence ministry) তরফে বলা হয়েছে ভারতের মূল লক্ষ্য পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া। সেইমতো লস্কর-ই-তৈবা, হিজবুল মুজাহিদিন, এবং জইশ-ই মহম্মদের জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর ফলে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে যায়। এই অপারেশন সিন্দুর সফল করতে স্ক্যাল্প মিসাইল ব্যাবহার করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এই আবহে আজ থেকে দেশজুড়ে অসামরিক মহড়া (Mock Drill) শুরু হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য সাধারণ মানুষকে প্রস্তুত করতেই এই মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ২০১০ সালের একটি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দেশের ২৭টি রাজ্য এবং আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোট ২৪৪টি ‘অসামরিক প্রতিরক্ষা জেলা’ বা ‘সিভিল ডিফেন্স ডিস্ট্রিক্ট’ রয়েছে। তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাও। সেই মতো আজ বাংলাতেও মক ড্রিল শুরু হচ্ছে। সঙ্গে সাধারণ মানুষকে ব্ল্যাকআউট সংক্রান্ত ধারণাও দেওয়া হবে। ইতিহাস বলছে ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় শেষ বার ভারতে সাধারণ নাগরিকদের জন্য এই ধরনের মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগের সেই সময়ে আর ২০২৫ সালের পরিস্থিতির মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। সেখানে দাঁড়িয়ে আপৎকালীন পরিস্থিতি যদি তৈরি হয় তাহলে এই ব্ল্যাকআউট আদৌ কি কার্যকরী হবে? নাকি সবটাই মানুষের দেশপ্রেমের সেন্টিমেন্টকে উসকে দিয়ে নজর ঘোরানোর চেষ্টা কেন্দ্রীয় সরকারের, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।

দেশের সব রাজ্যকে পাঠানো নির্দেশে বলা হয়েছে, মূলত বিমান হামলা হলে কী ধরনের পদক্ষেপ করতে হবে তা শেখানো হবে সাধারণ মানুষকে। তবে কারা এই মহড়া দেওয়াবেন, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও স্পষ্ট বার্তা মেলেনি। মঙ্গলবার এই মহড়া নিয়েই রাজ্যগুলির স্বরাষ্ট্রসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন। রাজ্য প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, সাধারণ মানুষের সরাসরি এতে অংশগ্রহণ না থাকলেও, জরুরি পরিষেবাগুলির প্রস্তুতি পরীক্ষা করাই মহড়ার মূল লক্ষ্য। বাংলার প্রতিটি জেলায় ২০ থেকে ২৫টি সাইরেন পুনঃসচল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ কলকাতার লা মার্টিনিয়ার ( বয়েজ অ্যান্ড গার্লস), দিল্লি পাবলিক স্কুলের মতো বেশ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে এই মহড়া হওয়ার কথা রয়েছে।

 

spot_img

Related articles

বাংলা দখলে প্রধানমন্ত্রীর ‘হতাশার আর্তনাদ’! ভিডিও দেখিয়ে তোপ তৃণমূলের

বাংলার মানুষকে দিনের পর দিন বঞ্চিত রেখে বাঙালির কাছেই ভোট ভিক্ষা! বাঙালিকে একের পর এক রাজ্যে হেনস্থা করে...

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...