একের পর এক ড্রোন, মিসাইল হামলায় ভারতের পশ্চিম প্রান্তে উস্কানি দিয়ে উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে পাকিস্তান (Pakistan provocation in LOC)। এই অবস্থায় কি ক্রিকেট ময়দান ছেড়ে সীমান্তের রণাঙ্গনে যাবেন ভারতীয় ক্রিকেটের দুই তারকা সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar), মহেন্দ্র সিং ধোনিরা (Mahendra Singh Dhoni)! ভারতীয় সেনা টেরিটোরিয়াল আর্মি (Territorial Army )ব্যবহারের অনুমতি পেতেই, এবার ক্রীড়া জগতের সাম্মানিক পদাধিকারী তারকাদের এলওসি -তে যাওয়া নিয়ে বাড়ছে জল্পনা।

ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে দেশের মানুষের সুরক্ষার স্বার্থে সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। একদিকে তেমন প্রধানমন্ত্রী বায়ুসেনাকে ফ্রি হ্যান্ড দিয়েছেন, অন্যদিকে প্রয়োজনমতো টেরিটোরিয়াল আর্মি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে স্থলসেনাকে। আর এখানেই নাম উঠে আসছে কপিল দেব (Kapil Dev), সচিন তেণ্ডুলকর, মহেন্দ্র সিং ধোনি, নীরজ চোপড়া, অভিনব বিন্দ্রা, রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌদের মতো সফল ক্রীড়াবিদদের। আসলে এনারা প্রত্যেকেই টেরিটোরিয়াল আর্মির (TA) কোনও না কোনও সাম্মানিক পদাধিকারী।কেউ এয়ার ফোর্সের সাম্মানিক গ্রুপ ক্যাপ্টেন, তো কেউ আবার TA কর্নেল। কেন্দ্র জানিয়েছে, সেনাপ্রধান প্রয়োজন মনে করলে আপদকালীন পরিস্থিতিতে সেনাকে প্রয়োজনীয় রসদ পৌঁছে দেওয়ার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন টেরিটোরিয়াল আর্মিকে। এটি আসলে স্বেচ্ছাসেবক, স্বেচ্ছাঅবসর নেওয়া সেনা আধিকারিকদের একটি সহায়ক সামরিক সংস্থা। এতে জুনিয়র কমিশনড অফিসার, নন-কমিশনড অফিসার এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর মতো পদধারী অন্যান্য কর্মীদের পাশাপাশি অসামরিক পেশার ব্যক্তিত্বরাও রয়েছেন। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের নাম উঠে আসছে। যদিও সচিন-ধোনিদের ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।কারণ অতি সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি না হলে সাম্মানিক পদাধিকারীদের ডাকা হয় না। অপারেশন সিন্দুরের (Opetation Sindur) সাফল্যের পর ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও মন্তব্য না করলেও দেশের সামরিক বিভাগের তরফে সীমান্তে যে প্রত্যাঘাত চলছে তাকে সমর্থন জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন কুল এমএসডি (Mahendra Singh Dhoni)।

–
–

–
–

–

–

–

–


–

–

–

–

–