পহেলগাম হামলা থেকে অপারেশন সিন্দুর (Operation Sindoor), কখনও সীমান্তে গোলাগুলি আবার কখনও আকাশপথে ড্রোন কিংবা মিসাইল হামলায় ত্রস্ত জম্মু-কাশ্মীর (J & K)। তবে সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণার পর থেকেই স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরতে চাইছে উপত্যকা। সোমবার থেকে আংশিকভাবে শুরু হয়েছে বিমান পরিষেবা, মঙ্গলবার থেকে খুলছে স্কুল-কলেজ। তবু আতঙ্ক কাটছে না বাসিন্দাদের মনে। তাঁরা বলছেন, এই সংঘাত শুধু অস্ত্রশস্ত্রের নয়। বরং কেউ যেন তাঁদের এক সাইকোলজিক্যাল ট্রমার মাঝে ফেলে দিয়েছে! যেখানে চোখ বন্ধ করলেই মনের মধ্যে ঘিরে ধরছে ভয়। প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর (Indian Army) তরফ থেকে আতঙ্কিত না হওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সীমান্ত এলাকায় থাকা কাশ্মীরিদের কাছে সংঘর্ষ, গোলাগুলি কোনও নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু এবারের সংঘর্ষের জেরে এক অনিশ্চয়তার কালো মেঘ ঘিরে ধরেছে উপত্যকার বাসিন্দাদের। শনিবারের ‘সিজফায়ার’ লঙ্ঘন (Ceasefire Violation) করে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, সোমবার রাতে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণের পরও জম্মুর সাম্বা – আখনুর সেক্টরে ড্রোন হামলা আটকায় ভারতীয় সেনা (IAF)। নিরাপত্তার স্বার্থে ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হয় এলাকা। মঙ্গলের সকালে কিছুটা চিন্তা নিয়েই ঘুম ভেঙেছে ভূস্বর্গের। তবে আর কোনও গোলাগুলির শব্দ মেলেনি। সেনা টহলদারি চলছে। দোকানপাট বাজার হাট খুলেছে। রাস্তায় মোটামুটি লোকজনের দেখা মিলেছে। আজ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে, ফলে অবস্থার উন্নতি হবে বলে আশা করছে প্রশাসন। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের মনে প্রশ্ন সংঘর্ষবিরতি বজায় থাকবে কদিন? পাকিস্তান যে আর হামলা করবে না এর কোনও নিশ্চয়তা আছে কি? এসব প্রশ্নের উত্তর নেই কারোর কাছে।

–

–

–
–

–

–

–

–


–

–

–

–

–