হুগলির(Hooghly) গান্ধীগ্রাম ‘ময়ূর গ্রাম'(Mayur Gram) নামে পরিচিত। কিন্তু সেখানেই বিপন্ন ময়ূর(Peacock)- অভিযোগ স্থানীয়রা। রাজহাট অঞ্চলের গান্ধীগ্রামে ময়ূরের(Peacock) অবাধ বিচারণ। বাড়ির ছাদ, বাগান বা রাস্তার ধারে ছোখে পড়ে ময়ূর-ময়ূরীর আনাগোনা। কিন্তু কিন্তু পরিবেশগত পরিবর্তন ও পাচারকারীদের কোপে জাতীয় পাখির অস্তিত্ব বিপন্ন।

স্থানীয় কল্যা পরিবার ও কয়েকজন গ্রামবাসীর প্রচেষ্টায় গান্ধীগ্রামে আসে ময়ূর। বনাঞ্চল থেকে মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ানো ময়ূররা খাবারের ডাকে দলে দলে চলে আসে, কিন্তু বন্দি অবস্থায় থাকে না। অসুস্থ হলে তারা কল্যা পরিবারের আশ্রয়ে থাকে, আর সুস্থ হয়ে ফিরেও যায় নিজের জায়গায়।

গান্ধীগ্রামে ময়ূরের বংশবিস্তারের পিছনে আছে স্থানীয় ঐতিহ্য। রাজহাটের উত্তর পাড়ায় নীলমণি চক্রবর্তী(Nilmani Chakraborty) ও রায় পরিবারের বাড়ির গুটিকয়েক ময়ূর থেকেই এখানে ময়ূরের বংশবিস্তার শুরু। আম, কলা, বাঁশ বাগান ও কুন্তী নদীর আশেপাশের নিরিবিলি পরিবেশে ময়ূর সাচ্ছন্দ্যবোধ করলেও জনবসতির বিস্তার ও পাচারকারীদের ময়ূরের ডিম ও বাচ্চা চুরি তাদের বাসস্থানকে ক্রমশ নিরাপত্তাহীন করে তুলেছে। তবে কল্যা পরিবার, শিবদুর্গা ব্রতচারী মণ্ডলীর প্রচেষ্টায় এখনও টিকে আছে ময়ূরের অস্তিত্ব। কিন্তু পরিবেশের দ্রুত পরিবর্তন, বনভূমি ধ্বংস, কীটপতঙ্গের অভাব এবং খাবার সংকট ময়ূরদের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলছে। জল সংকট ও গরমে সানস্ট্রোকের মতো সমস্যায় প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ছে ময়ূররা।

স্থানীয় প্রশাসন বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও তা যথেষ্ট নয় বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়(Rachana Banerjee) জানান, আগামী দিনে কীভাবে ময়ূরের অস্তিত্ব সংকট দূর করা যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ করবেন তিনি।

–

–
–

–

–

–

–

–

–

–

–
