মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী বিজয় শাহ কর্ণেল সোফিয়া কুরেশি সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছিলেন তার জের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছে। তবে বিজেপি নেতারা প্রাথমিকভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের ভারতীয় সেনা আধিকারিককে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তাঁরাই আরও দুই সেনা আধিকারিক সম্পর্কে জাতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করতেন, আশঙ্কা প্রকাশ সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) জাতীয় সম্পাদক রাম গোপাল যাদব। আর বিজেপির এই মুখোশ খোলার পরই নিজেদের দোষ ঢাকতে পাল্টা মিথ্যা প্রচারে নেমেছে বিজেপি।

ভারতীয় সেনা আধিকারিক, যাঁদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে গোটা দেশের কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছেন, তাঁদেরই অসম্মানের পথে তাঁরই দলের নেতা। শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে যে অসম্মান কর্ণেল সোফিয়া কুরেশিকে করা হয়েছে, তা যে সেখানেই থেমে থাকত না, তা স্পষ্ট করেছিলেন সমাজবাদী পার্টি নেতা রাম গোপাল যাদব। তিনি দাবি করেন, যে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং (Vyomika Singh) অপারেশন সিন্দুর পরবর্তীতে ভারতীয় সেনার প্রচার চালিয়েছিলেন, তিনি জাঠ (Jatab) সম্প্রদায়ের। এই কথা জানতে পারলে তাঁকে নিয়েও কটূ কথা বলতেন বিজেপি নেতারা, কটাক্ষ রাম গোপালের (Ram Gopal Yadav)।

শুধুমাত্র ব্যোমিকা নন, ভারতীয় বায়ুসেনার ডিজিএমও এ কে ভারতী সম্পর্কেও একই মন্তব্য করতে পারতেন বিজেপি নেতারা, দাবি রাম গোপালের। জাতিবিদ্বেষী বিজেপির শিকার হতে পারতেন পুর্নিয়ার যাদব সম্প্রদায়ের এ কে ভারতীও (DGMO A K Bharati), আশঙ্কা প্রকাশ করেন সমাজবাদী পার্টির নেতা।

তবে সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party) নেতার এই মুখোশ খোলার বার্তায় কার্যত চাপে বিজেপি। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই শুরু হয়ে যায় বিজেপির তরফ থেকে পাল্টা সমাজবাদী পার্টির নেতাকেই দোষারোপের পালা। দাবি করা হয়, ভারতীয় সেনা আধিকারিকদের জাতি প্রকাশ করে রাম গোপাল যাদবই তাঁদের অসম্মান করেছেন। যদিও আদতে বিজেপির সেই অভিযোগ ধোপে টেকেনি।

–

–
–

–

–

–

–

–

–

–
