বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনের নামে বিশঙ্খলা তৈরি করছেন চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা। বিকাশ ভবনের কর্মীদের অফিস থেকে বেরনোর পথ করে দিতে কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয় পুলিশ (Police)। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সংবাদ মাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায় না। সেই কারণেই বিশৃঙ্খলা বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার। শনিবার, তৃণমূল নেতা তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) এই বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টাকে নাটক বলে কটাক্ষ করেন। আর তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ফিরহাদের পাশেই দাঁড়িয়ে বলেন, ক্যামেরা দেখেই হাত-পা ছুড়ে ছুড়ে নাটক করে ছবি তুলছেন।

পুলিশ শুক্রবার জানায়, বিকাশ ভবনের (Bikash Bhaban) কর্মীর অসুস্থ মা বাড়িতে। কিন্তু এই ঘেরাওয়ের জেরে তিনি বেরতে পারছিলেন না। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ফিরহাদ বলেন, মায়ের অসুস্থতায় বাড়ি যেতে পারব না, এটা হতে পারে না। সুপ্রিম কোর্ট যা দিয়েছে সেটা বদলাতে পারে তারাই। বিকাশ ভবনে আন্দোলন করে এটা বদলানো যায় না। এটা তো নাটক হচ্ছে।
আরও খবর: সেনা জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা! রাজ্যে তৃণমূলের টানা দু’দিনের শহিদতর্পণ কর্মসূচি

ফিরহাদের কথার রেশ টেনেই কুণাল (Kunal Ghosh) বলেন, যখন শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন হয়েছে, তখন কেউ আপত্তি করেনি। কিন্তু সব্যসাচী দত্ত যদি অন্য় কাজে যেতে চান তবে তাকে অ্য়াটাক করলেন কেন! টিভি ক্যামেরা দেখেই হাত পা ছুড়ে ছুড়ে নাটক করে ছবি তুলছেন। এর পরেই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছবিটা দেখেছেন, একটা ছেলে বার বার ঘুরে ফিরে গিয়ে হাত পা ছুড়ে ক্যামেরার সামনে শুয়ে পড়ছে। ক্যাম লুক শব্দটা তো বুঝি। লেন্সের দিকে তাকিয়ে শুয়ে পড়ছে। …একটা রিলিফ দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই অশান্তিটা সুপ্রিম কোর্টে এমন ভাবে না পৌঁছয় যাতে এই জিনিসটা না বন্ধ হয়ে যায়। তবে সেই সঙ্গেই কুণাল ঘোষ স্পষ্ট করে দেন তিনি কাউকে অসম্মান করছেন না।

–

–

–
–

–

–

–

–

–

–

–
