অভিনব উদ্যোগ ক্যালকাটা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবের(CSJC)। শহরের বুকে নয়, এবার জেলাতে স্পোর্টস মিউজিয়াম(Sports Museum)। ক্যালকাটা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবের উদ্যোগে এবং আমার ট্রি গ্রুপের সহযোগিতায় মন্দারমণিতে উদ্বোধন হল স্পোর্টস মিউজিয়ামের(Sports Museum)। অবশেষে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা বাস্তবের রূপ নিল। এদিনের উদ্বোধনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্জুন এবং পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত ও প্রাক্তন সাংসদ জ্যোতির্ময়ী সিকদার। এছাড়াও অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত এবং প্রথম মহিলা ফুটবলার শান্তি মল্লিক, আমার ট্রি গ্রুপের কর্ণধার শ্রী প্রবীর রায় চৌধুরী, ফুটবলার সৌভিক চক্রবর্তী এবং আবীর।

ক্রীড়া জগতের তারকাদের নানান স্মারক রয়েছে এই মিউজিয়ামে। আন্দ্রে রাসেলের ব্যাবহার করা হেলমেট যেমন সকলে দেখতে পাবেন, তেমনই রয়েছে ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্তিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ামো মার্টিনেজের সই করা জার্সি। পেলের সই করা ছবি থেকে রয়েছে জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারের জার্সিও। ক্রীড়াক্ষেত্রের নানান দিকপালের বহু স্মৃতিই এবার শোভা পাবে স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবের(CSJC) এই মিউজিয়ামে।

স্পোর্টস মিউজিয়াম এর চমক গুলির মধ্যে অন্যতম হলো-

১. ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল – এর ব্যবহার করা হেলমেট।

২. দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ল্যান্স ক্লুসেনারের অটোগ্রাফ করা জার্সি।

৩. অলিম্পিয়ান জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারের ইন্ডিয়া জার্সি।
৪. প্রাক্তন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন তিলকরত্নে দিলশানের জার্সি।

৫. মাউন্ট এভারেস্টে শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রথম ভারতীয় মহিলা, বচেন্দ্রী পালের স্বাক্ষরিত শার্ট।
৬. ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ গোল্ডেন গ্লাভস বিজয়ী আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের স্বাক্ষরিত টি-শার্ট।

৭. ২০০৩ সালে প্রাক্তন ভারত আন্তর্জাতিক ফুটবলার ইস্ট বেঙ্গলকে এশিয়ান কাপ জয়ের জন্য কোচিং করানোর সময় সুভাষ ভৌমিক – এর জার্সি।

৮. কিংবদন্তি খেলোয়ার পেলে-এর স্বাক্ষরিত ছবি

৯. অলিম্পিক হকি স্বর্ণপদক জয়ী গুরবাক্স সিং -এর ব্যবহৃত হকি স্টিক।10. ১৯৪২ সালে ইস্ট বেঙ্গল এর প্রথম জয়ী স্মারক।

পোর্ট স্পোর্টস মিউজিয়াম এর বিষয়ে জ্যোতির্ময়ী সিকদার কলকাতা ছাড়াও গ্রামে বা জেলায় এরকম উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এদিন তাঁর গলায় উঠে এল অতীতের স্মৃতিচারণ।

ক্যালকাটা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবের(CSJC) সেক্রেটারি সুভেন রাহা-এর কথায়, আমার ট্রি গ্রুপের কর্ণধার প্রবীর রায় চৌধুরী ব্যবসায়ী হলেও তার সর্বপ্রথম পরিচয় ক্রীড়াপ্রেমী। তাঁর সহযোগিতা ছাড়া এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করা সম্ভব ছিল না। এই মিউজিয়ামে সকলের জন্য অবাধ প্রবেশ রয়েছে।

–

–

–
–
–
–
–
–
–
–