ছত্তিশগড়ে যৌথবাহিনীর চাপে কোণঠাসা মাওবাদীদের শীর্ষ নেতৃত্ব। বুধবার ভোরে ছত্তিশগড়ে মাওবাদী বিরোধী অভিযানে এবার মাওবাদীদের সাধারণ সম্পাদক (General Secretary) নাম্বালা কেশব রাও-এর মৃত্যুর সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। বিজাপুর সীমান্তে গুলির লড়াইয়ে ২৬ জন মাওবাদীর (Maoist) দেহ উদ্ধারের দাবি যৌথ বাহিনীর। চলছে সেই দেহ সনাক্তকরণের কাজ।

অপারেশন ব্ল্যাক ফরেস্টের (Operation Black Forest) মধ্যে দিয়ে ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ পর্যন্ত রাজ্যগুলিতে মাও-বিরোধী কিছু নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে মাওবাদীদের কোণঠাসা করার কাজ অনেকাংশে করে ফেলেছে। সেই মতো বিজাপুর-নারায়ণপুর সীমান্তে মাওবাদী বিরোধী অভিযান শুরু হয় বুধবার ভোরে। সেই অভিযানে ডিস্ট্রিক্ট রিসার্ভ গার্ডের (DRG) কর্মীরা নায়ারণপুর, দান্তেওয়াড়া, বিজাপুর, কোন্দাগাঁও এলাকা তল্লাশি ও নিধন চালানো হয়। বুধবার বেলায় ওই এলাকা থেকে ২৬ মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয় বলে দাবি নারায়ণপুর পুলিশ সুপারের।

ফের একবার মাওবাদী বিরোধী অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড। তবে বুধবারের সাফল্যকে অনেক বড় মাত্রা দেওয়া হয়েছে, কারণ দাবি করা হচ্ছে এই অভিযানে একাধিক শীর্ষ মাও-নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে। তার মধ্যে অন্যতম নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বসোয়া রাজু। তিনি সিপিআই (মাওবাদী) সাধারণ সম্পাদক (General Secretary)। ছত্তিশগড় পুলিশের তরফ থেকে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত না করা হলেও তেমনই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

এই কেশব রাও ২০১৭ সাল থেকে গোটা দেশের মাও অভিযানকে নেতৃত্ব দিতেন। মাও অভিযানের বহু অপারেশনের মাস্টার মাইন্ড এই কেশব রাও বলেই দাবি গোয়েন্দাদের। ৬৭ বছরেও কেশব ছিল স্থানীয় এলাকায় ত্রাসের কারণ। তার মাথার দাম ১ কোটি টাকা ধার্য করা ছিল। প্রাথমিকভাবে তার দেহ সনাক্ত করে মাওবাদী সাধারণ সম্পাদকের মৃত্যু নিশ্চিত করার অপেক্ষা ছত্তিশগড় পুলিশের।

–

–
–

–
–

–

–

–

–

–
