কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও বাংলা জুড়ে চলছে উন্নয়নের জোয়ার। কেন্দ্র বাংলার প্রাপ্য দেয়নি। এমনকী বাংলা থেকে জিএসটি তুলে নিয়ে যাচ্ছে, তার প্রাপ্যও দিচ্ছে না। রাজ্যের সেই নায্য পাওনা আদায়ে এবার কড়া অবস্থান নেওয়ার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার উপর নদী-ভাঙন রোধের কাজ ও ফরাক্কা চুক্তিতেও বাংলার দাবি আদায়ের বিষয় রয়েছে। বুধবার উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে বাংলার ন্যায্য পাওনা ছিনিয়ে আনতে প্রয়োজনে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে দিল্লি অভিযানে যেতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, বাংলার সার্বিক উন্নয়নে আমাদের সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। এই যেমন বন্যা পরিস্থিতিতে সব রাজ্য কেন্দ্রের বন্যাত্রাণ পায়, কিন্তু বাংলা বারবার বঞ্চিত হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের থেকে বাংলা বঞ্চিত হওয়া সত্ত্বেও আমাদের সরকার সাধারণ মানুষের কাছে পরিষেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর। পথশ্রী, গ্রামীণ রাস্তা, জলস্বপ্ন, স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ, চোখের আলো প্রকল্পের ক্যাম্প, বাংলার বাড়ি, কর্মশ্রী, বাংলা সহায়তা কেন্দ্র প্রভৃতি প্রকল্পগুলির পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছি বাংলার ঘরে ঘরে। বাংলার প্রগতি, বাংলার বিকাশ, বাংলার উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। আগামী দিনেও উন্নয়নমূলক কাজের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলা।

বাংলায় নদী ভাঙন একটা বড় ব্যাপার। অথচ কেন্দ্র বাংলার জন্য কিছু করেনি। ১০৬৪ কোটি টাকা কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রের কাছে। কেন্দ্র কিছুই করেনি। রাজ্য ৪৬৬ কোটি টাকার কাজ করেছে। ২২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২১টি প্রকল্পের কাজ হয়েছে। আরও ১১ কোটি টাকার কাজ শুরু হবে। ফরাক্কা চুক্তির ৭০০ কোটি টাকা বাংলাকে দেওয়ার কথা ছিল দেবেগৌড়াজির আমলে। ১৮০ কিমি পর্যন্ত ফরাক্কার উন্নয়ন দেখারও কথা ছিল কেন্দ্রের। ওদের সময় কোনও সুরাহা হয়নি। তা নিয়ে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে প্রয়োজনে দিল্লি দরবার করবেন আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন – পথশ্রী প্রকল্পে গ্রামীণ রাস্তায় ঢালাও উন্নয়ন! উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে খতিয়ান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

_

_
_

_
_

_

_

_

_

_

_
